অনলাইন ডেস্ক : স্বপ্ন ছিল গ্রাজুয়েট হওয়ার। কিন্তু পেটের দায়ে তার আগেই চাকরি শুরু করতে হয়েছিল ইতালির গুইসেপ্পে পাতের্নোকে। তাই ওটা আর হয়নি। কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্তে এসেই প্রমাণ করলেন, মানুষ চাইলেই পরে। মানুষ তার স্বপ্নের সমানই বড়। বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ভেবে নিয়েছিলাম আমাকে গ্র্যাজুয়েট হতেই হবে। শিক্ষা একমাত্র বিষয়, যা মৃত্যুতেও আমার সঙ্গেই যাবে।’
তিনি চাকরি করতেন ইতালির রেল ডিপার্টমেন্টে। জীবনের নানা চাপে পড়ে গ্র্যাজুয়েশন করা হয়নি। মাঝ পথে ছাড়তে হয়েছিল পড়াশোনা।
কিন্তু সারাজীবন বই নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯০ বছর বয়সে শুরু করেন ডিগ্রির পড়াশোনা। ২০১৭ সালে কলেজে ভর্তি হন।
সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ভেবে নিয়েছিলাম আমাকে গ্র্যাজুয়েট হতেই হবে। শিক্ষা একমাত্র বিষয় যা মৃত্যুতেও আমার সঙ্গেই যাবে। আমি লজ্জা বা ভয় পাইনি। ক্লাসে ২০ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের সঙ্গে আমি অবশ্যই বেমানান। কিন্তু আমার ছোট্ট সহপাঠীরা কখনও আমায় বুঝতে দেয়নি যে, আমি বেমানান। তাই আজ আমি স্বপ্ন সত্যি করতে পেরেছি।
ইতালির পালের্মো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও দর্শন নিয়ে পড়ে তিনি স্নাতক হলেন। তার ২০ বছর বয়সী সহপাঠীরা তার এই সাফল্যে গর্ব বোধ করছেন। সকলে স্টেজে উঠে করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান ৯৬ বছর বয়সী স্নাতককে। সূত্র : রয়টার্স।