অনলাইন ডেস্ক : অভাব, পুষ্টিহীনতা ও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায় ২৫ কোটি শিশু প্রারম্ভিক বিকাশের পরিবেশ পায় না। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আইসিডিডিআর,বি আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শিশুরাই এদেশের ভবিষ্যৎ। শৈশব থেকে যদি আমরা তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে পারি, নিঃসন্দেহে তারা ভবিষ্যতে দেশের কান্ডারি হবে। শিশুদের বিকাশে আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. বেগম রোকেয়া সুলতানা বলেন, শিশুরা কী ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠছে তা বিবেচনায় নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে তাদের বাড়ি, আশপাশের জায়গা ও স্কুল। শিশুদের বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ শিশুর শৈশব বিকাশ কর্মসূচিতে সরকারের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন। সেমিনারে স্বাস্থ্য খাত ও জনস্বাস্থ্যে আইসিডিডিআর,বির অবদান তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের (এমসিএইচডি) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ড. জেনা দেরাখশানি হামাদানি বলেন, খেলাধুলাভিত্তিক লালন-পালন কর্মসূচি শিশুদের জ্ঞান, ভাষা এবং শারীরিক ও আচরণগত বিকাশ ত্বরান্বিত করে।
সরকার আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুর শৈশব বিকাশে কাজ করছে। সেমিনারে জানানো হয়–নরসিংদী, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে ৬১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ৩৬ মাস বয়সী ১৪ হাজারের বেশি শিশুর মা অথবা যত্নকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।