স্পোর্টস ডেস্ক : অ্যাশেজ টেস্টে ইংলিশ ব্যাটারদের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছিল প্রথম ম্যাচ থেকেই। স্বাগতিক বোলারদের সামনে এক রকম অসহায়ত্ব দেখিয়ে যাচ্ছিলেন জো রুট, জজ বাটলাররা। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে এতটা বিব্রতকর রেকর্ড গড়বে ইংলিশরা, তা হয়তো কল্পনাও করেনি কেউ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে মাত্র তিন দিনে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট হারের স্বাদ পেল তারা। তবে ভিন্ন চিত্র অজি শিবিরে। অসহায় ইংলিশদের সামনে উচ্ছ্বাস-উদযাপনে একটা দিন পেয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন অজি পেসার স্কট বোল্যান্ড।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের একাদশে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সাদা পোশাকে ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন বোল্যান্ড। অভিষেকে ঘরের মাঠে এমন এক রেকর্ড গড়লেন তিনি, যা ক্রিকেট বিশ্বে প্রথম। দ্বিতীয় ইনিংসে এই বোলারের কাছেই হেরে যায় ইংলিশরা। ৬৮ রানে ইনিংস গোটানো ইংলিশদের বিপক্ষে চার ওভার বল করে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।

৪-১-৭-৬, সংখ্যাটা দেখলে অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বোল্যান্ড তা বাস্তব করে নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসে। একমাত্র বোলার হিসেবে মাত্র চার ওভারে সাত রান দিয়ে ছয় উইকেট শিকার করা বোলার এখন তিনি। আগেরটি রেকর্ডটি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ারই চার্লি টার্নার, প্রায় ১৩৫ বছর আগে। ১৮৮৭ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সিডনিতে ১৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার টার্নার। কিন্তু তার চেয়ে কম রানে উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এখন বোল্যান্ডের।

অভিষিক্তদের থেকে যদি সীমানা ছড়িয়ে দেওয়া হয় টেস্ট ইতিহাসের সব ম্যাচের সব বোলারে, বোল্যান্ডের চেয়ে কম রানে ৬ উইকেট আছে কেবল একজনেরই। ২০০২ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার জার্মেইন লসন। তবে লসন বোলিং করেছিলেন ৬.৫ ওভার। স্রেফ ৪ ওভারেই ৬ উইকেট নেই ইতিহাসের আর কোনো বোলারের।

বোল্যান্ডের এক রেকর্ডের পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক মেলিন্ডা ফারেল বলেন, ‘স্কট বোল্যান্ডের জন্য রূপকথার রূপকথা। এমসিজিতে অভিষেকে ইনিংসে পাঁচ উইকেট, তাও আবার অ্যাশেজে যেদিন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিশ্চিত করল। এক কথায় অসাধারণ। আমি আশা করি এটা অনেক আদিবাসী শিশুকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে।’