অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে সরকার ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেবে। শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেয়া হবে। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। সরকারের হাতে এই মুহূর্তে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখে মোট ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেওয়া হবে।

রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আবার যখন আমাদের হাতে ফাইজারের টিকা আসবে, তখন আমরা (শিশুদের) এ সংখ্যা বৃদ্ধি করবো। এখনো তারিখ ঠিক হয়নি, কিন্তু ইমিডিয়েটলি দেয়া শুরু করবো। দুয়েক দিনের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন কাজ শুরু হয়েছে।”

টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতা বাড়ানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশে এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সরাসরি কোন নির্দেশনা নেই।

সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সময় অপ্রাপ্তবয়সীদের টিকা দেয়ার ইস্যুটি সামনে আসে।

সেসময় সরকার বলেছিল বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তারা।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার বলেছেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার কথা বলে যখন জানতে চেয়েছি, তখন উনি বললেন যে সংক্রমণ রোধে এবং কোমরবিডিটি রয়েছে এমন ছেলেমেয়েদের টিকা দিতে পারেন আপনারা। উনার (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক) সাথে কথা বলার পর আমি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, ফাইজার আর মডার্নার টিকা দিতে পারবে তারা আমাদের।

গত ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ফাইজার বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত সাত কোটি ২২ লাখ করোনাভাইরাসের টিকা হাতে পেয়েছে।

এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৬১ লাখ মানুষকে।

দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখ মানুষকে।

মোট পাঁচ কোটি ৪১ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।