খুরশীদ শাম্মী
হরিলুটের বাজারে তে
সবাই কিছু তেল বেচে,
মাখন, ঘি হলে পরে
দামটা একটু চড়া হাঁকে।
বেচা-কেনার ছল-চাতুরীতে
ন্যায়ের বোঝা ঝিমিয়ে পড়ে,
দায়বদ্ধতা আশ না ছেড়ে
দম ফুরিয়ে মরে মরে।
হরিপদ হেসে বলে,
ময়দা আছে, নেবে? কাজে দেবে।
মদন কুমার মাথা নাড়ে
না, না, না এসব কিছু চলবে না-রে।
ঠগের ভ্রু আনন্দে নাচে
কৌতুহল যে জাগিয়ে দিলে,
আটা, ময়দা লাগিয়ে তবে
দেখি না হয় সং সেজে।
রঞ্জন বাবু হাত বাড়িয়ে
দেয় কিছু রং মিশিয়ে,
দৃষ্টিনন্দন হলে পড়ে
প্রশ্ন কেহ করবে না রে।
বিবেক দাদু মুচকি হাসে
রং তামাশা দেখি বলে,
নীরব থাকি তোদের ভয়ে
এমন কথা ভাবিস না রে।
সাধু বাবা ধ্যান ভেঙে
টিপনি কাটে আড় চোখে,
স্বার্থটা বুঝি যাবেই যাবে
বিবেক যদি জেগে ওঠে।
মোড়ল ঠাকুর হুকুম ছাড়ে,
তোরা কে কোথায় আছিস রে?
ওদের প্যাঁদানি দিয়ে বুঝিয়ে দে
ক্ষমতা এখনো আমার হাতে।
স্বপ্নগুলো মুখ লুকিয়ে
পড়ে থাকে নিভৃতে,
বিবেক কতক গুনগুনিয়ে
ঘরে ফেরে কষ্ট বুকে।
হরিলুটের বাজারে তে
কোনো কিছু আর নতুন না রে,
তেলবাজি, ধোঁকাবাজি এমনিভাবে
হরহামেশা চলতে থাকে।