অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানের জনগণ সবুজ এবং সাদাকে আলাদা এবং স্পষ্টভাবে দেখার চেষ্টা করে। তবে এতে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্বাধীনতার পর ৭৮তম বছরে এখন পাকিস্তান। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্ম নেয়ার পর প্রায় আট দশক হয়ে যাচ্ছে। দেশটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, যার বেশিরভাগ জনসংখ্যা ৩০ বছর বছরের কম বয়সী।
এমন একটি দেশ যা উপভোগ্য হতে পারতো এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনেক কিছু অর্জনের সম্ভাবনা রাখে। এমন একটি সফলতা এখন সবারই জানা আর তা হলো প্যারিস অলিম্পিকে নতুন সম্ভাবনার জয়। ৪০ বছর পর, প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছে দেশটি। গোটা দেশের জন্য এটি একটি জাদুকরী মুহূর্ত যার ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ঠিক আগে জনগণের মাঝে রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জিওটিভিতে বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রকাশিত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এবং জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক মরিয়ম খানের নিবন্ধে এমনটি উঠে এসেছে।
পাকিস্তানকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। জনগণ এটিকে সুস্পষ্টভাবে ভাল কিংবা খারাপ এমন মাপকাঠিতে দেখতে চায়। সত্যি বলতে এটা অনেকটা ধূসর হয়ে গেছে। আপনি এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার মধ্যেও কিছু ভাল এবং সম্ভাবনার আলো খুঁজে পাচ্ছেন,’ এমনটি বলেন বিলাল হাসান, যিনি মিস্তাপাকি নামে পরিচিত। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ফটো সাংবাদিক এবং লেখক ১০ বছর দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এবং সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করছেন তিনি বলেন, পাকিস্তান এখনও জটিল একটি দেশ।
এই ফটোসাংবাদিকের কাছে ‘স্বাধীনতার মানে হচ্ছে মুক্তি পাওয়া। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ এই ৭৮ বছর পরে আমি এটি প্রশ্ন করতে চাই, আমরা কি আসলেই স্বাধীন, নাকি পরাধীন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যদি এই মাধ্যমটি সর্বনাশ এবং হতাশাজনক পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে দেয় তার পরেও বলতে হয়, এই মাধ্যমটি বাস্তবতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর। অন্যায়কে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে এই মাধ্যমটি যেখানে অনেক বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো।
মিস্তাপাকি গ্রুপে নানা বয়সী-ধর্ম এবং বর্ণের মানুষ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। অনেক সাধারণ নাগরিকের অনুভূতি মূল্যায়নের পর দেখা যায়, তারা ভালো নেই। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি প্রত্যেকেই এই সংকটাপন্ন অবস্থা এবং দেশ ছাড়তে মরিয়া। তার পরিচিত এক নাপিত তাকে জানিয়েছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে যেতে তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নিবন্ধটি বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন।