অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ার ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ব্যাপক বৈরীতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই সিরিয়ায় কুর্দিপন্থী যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের পরামর্শ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন, কুর্দি যোদ্ধারা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করেন, তাহলে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। বুধবার তুরস্কের সংসদে একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ‘‘বিচ্ছিন্নতাবাদী খুনিরা হয় তাদের অস্ত্রকে বিদায় জানাবে, নতুবা তাদের অস্ত্রসহ সিরিয়ার মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।’’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা সেই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নির্মূল করব, যারা আমাদের এবং কুর্দি ভাইবোনদের মাঝে রক্তের প্রাচীর তৈরি করার চেষ্টা করছে।’’ মূলত সিরিয়ার কুর্দিপন্থী ওয়াইপিজি মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সম্প্রসারিত গোষ্ঠী হিসেবে দেখে তুরস্ক। এই গোষ্ঠীটি ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। ওয়াইপিজির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) সমর্থন রয়েছে।
এছাড়া তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রয়েছে পিকেকে। আঙ্কারা বারবার তার ন্যাটো মিত্র ওয়াশিংটন এবং অন্যদের প্রতি ওয়াইপিজির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এদিকে তুরস্কের সেনাবাহিনী উত্তর সিরিয়া ও ইরাকে ২১ কুর্দি বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। এক বিবৃতিতে দেশটির মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০ জন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং সিরিয়ান কুর্দিশ ওয়াইপিজি জঙ্গি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় ২০ জনকে উত্তর সিরিয়ায় এবং উত্তর ইরাকে একজন হত্যা করা হয়।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, “আমাদের কার্যক্রম কার্যকরভাবে এবং দৃঢ়ভাবে অব্যাহত থাকবে”। মূলত তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে দেখে। যারা ১৯৮৪ সালে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র : আল আরাবিয়া