অনলাইন ডেস্ক : অর্থ আত্মসাতের পৃথক দু’টি মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাঈনুল ইসলাম এ পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল্লাহ মাসুদ নামের একজন ব্যবসায়ী ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে পৃথক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় এক কোটি টাকা ও অন্যটিতে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ও মামলা দুটি আমলে নিয়ে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
এতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাহেদকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদী সাইফুল্লাহ মাসুদের প্রতিষ্ঠানের নাম মাসুদ এন্টারপ্রাইজ। তিনি ইট, বালু, পাথরের ব্যবসা করেন।
এদিকে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামেও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার বিকেলে নগরীর ধনিয়ালাপাড়ার মেসার্স মেগা মোটর্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী।
মামলায় সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ ছাড়াও মো. শহীদুল্লাহ নামের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার এক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। মো. সাহেদ ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঢাকা মহানগরে সিএনজি থ্রি হুইলার চলাচলের অনুমতি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।
এর পরের দিন ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। একই সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে র্যাব। ওই মামলায় আটজনকে আটক করা হলেও সাহেদসহ ৯ জন পলাতক।
এরই মধ্যে সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে তার ব্যাংক হিসাব। তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।