অনলাইন ডেস্ক : পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় কক্সবাজারের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ তল্লাশি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহত হন। এ ঘটনায় যুক্ত থাকায় ওই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকতসহ ১৬ জনকে আজ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি। এ ঘটনার বিষয়ে অবহিত হতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (অপারেশন্স অ্যান্ড ক্রাইম) জাকির হোসেন এখন কক্সবাজার অবস্থান করছেন।
পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার জেরে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে।’ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে নতুন করে আরও ২০ পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে কক্সবাজারমূখী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের ব্যক্তিগত গাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে পৌঁছালে সেটি তল্লাশি করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয়। পুলিশ তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বললে তিনি হাত তুলে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলি তাকে গুলি করে হত্যা করেন বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে।