মুন্নি আহমেদ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তার জন্ম শতবর্ষে কিছু লিখার ইচ্ছে সংবরণ করতে পারলাম না। যার শানিত কন্ঠে ছিল দেশের প্রতি তার উদাত্ব ভালোবাসা, যার দেশাত্ববোধ কিনা কেড়ে নিয়েছিল লক্ষ-কোটি শোসিত মানুষের মুক্তি পিপাসু মন! যে ছিল অসীম সাহসীকতায় আদ্যপান্ত সংগ্রামী আপষহীন এক বীরসেনা। সে কিনা জীবনকে তুচ্ছ করে অধীন দেশের কাছে স্বাধীন হবার মুক্তির বীজ বুনেছিল মনে। শৃঙ্খলিত ও চরমভাবে শোষিত-জীবিত জীবন থেকে যাকে এক চুলও নড়াতে পারেনি দেশ-মাতৃকার প্রতি অদম্য ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধ। শোসিত-শাসিত মানুষের জীবন যাকে চালিত করেছিল শোষন-মুক্তির আন্দোলনে! বঞ্চিত জাতির উপর অবাঞ্চিত শক্তির বিরুদ্ধে যার কন্ঠ গর্জে উঠেছিল; ন্যায়-অন্যায়ের নিপীড়ন যাকে করেছিল আরো সংগ্রামী-তেজস্বী। সে-ই তো রাখে কেবল অধিকার হবার শ্রেষ্ঠ বাঙালির! হে বাংলার ও তার নিপীড়িতের চিরদিনের বন্ধু-তোমার জন্ম শতবর্ষে এই তো আমাদের উপহার-হে বাংলার শ্রেষ্ঠবন্ধু! আর এহেন বাংলার চিরবন্ধু যিনি, তিনিই তো যোগ্যতা রাখেন হবার শুধু বাংলার মানুষের অত্যন্ত কাছের ও আদরনীয়- সেই তো আমাদের শোসিত বাংলার আর নিপীড়িত মানুষের সেই চির অম্লান – হে বঙ্গবন্ধু… শেখ মুজিবর রহমান!
‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হে মহীয়ান’
শতবর্ষে তুমি হয়েছো হে বর্ষীয়ান
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি হে মহীয়ান
মানব দরদী ছিলে হে সংগ্রামী,
সাহসীকতা ও জাতীয়তাবাদ ছিল তোমার নিত্যসঙ্গী
ছিলে তুমি অসীম রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অধিকারী
তোমার চালনায় দেশের মানুষ হয়েছিল তুমুল দেশপ্রেমী।
টুঙ্গীপাড়ার সেই খোকা হয়েছে আজ শেখ মুজিবর
তুমি সত্যি হয়েছো যে এক পরিপূর্ণ বঙ্গবন্ধু!
শোষিত ও বঞ্চিত জাতি ছিল যেই দেশে
সে দেশেরই মানুষকে তুমি স্বাধীন-সাধে রুপান্তরিত করলে,
তোমার অবদানে তাই বাংলার মানুষ ভুলেনি তোমাকে
আপন করে নিবিড়ভাবে ভুষিত করেছিল তোমায় বঙ্গবন্ধুতে,
মাটি আর মানুষকে ভালোবেসে তোমার জীবন বাজি রেখেছিলে
বপন করেছিলে হৃদয়ে তোমার শোষিত বাঙালির মুক্তির বীজ
শোষন-মুক্তির সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল সমগ্র বাঙালি সেদিন!
তুমি এনেছিলে তোমার সংগ্রামী হৃদয় দিয়ে
স্বাধীনতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই পৃথিবীর বুকে
পেয়েছিল শোষন-মুক্তির স্বাদ এই বাংলার মানুষের মনে
শাসকের রোষানলে পড়ে তুমি কাটিয়েছো কারাগারে দিন
দীর্ঘ সময় তুমি বরণ করেছিলে শৃঙ্খলিত জীবন
তবুও তোমার সংগ্রামের পথ আটকাতে পারেনি কেউ কোনদিন
মুক্তির এক স্বপ্ন-বীজ তুমি গেঁথেছিলে মনের গহীন
কে জানে হয়তো বা এই তো ছিল শোষিত মানুষের
জীবনের চালিত দিন
ন্যায্য দাবির জন্য তুমি হয়ে উঠেছিলে দুর্নিবার
ন্যায়-অন্যায়ের গর্জনে তুমি হয়েছিলে অনির্বাণ
করেছিলে মানচিত্রে স্থান স্বাধীন বাংলাদেশ নামে
তুমি রবে তাই প্রানের এই বাংলায় নীরবে-নিভৃতে!