অনলাইন ডেস্ক : যানজটের শহর ঢাকায় জনজীবনে অনেকখানি স্বস্তি এনে দিয়েছে মেট্রোরেল। রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন জীবনে বাড়িয়েছে গতি, কমিয়েছে ভোগান্তি। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর হতে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ এবং গত বছরের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু হয়। আর তারপর থেকেই পুরোদমেই যাত্রীসেবা দিয়ে চলছে রাজধানীবাসীর স্বস্তির এই বাহন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএসটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত কনফারেন্সে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৮ দিনে ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৯ জন যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। এতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা।

তিনি জানান, এর মধ্যে ২ শুক্রবার বন্ধও ছিল। আবার গত বুধবার কারিগরি ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় মেট্রোরেল বন্ধ ছিল। এতে এক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আবদুর রউফ জানান, ওইদিন অর্ধেক দিন মেট্রোরেল চালু থাকলেও যাত্রীসেবা দিয়ে মেট্রোরেলের আয় হয় ৫৪ লাখ ৯১ হাজার ১৪০ টাকা।

এদিকে অডিট ফার্মের নিরীক্ষা করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, জুন মাস পর্যন্ত (৬ মাসে) মেট্রোরেল মোট আয় করেছিল ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা। অথচ চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৮ দিনে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা।

অর্থাৎ যেখানে ৬ মাসে মাসে মেট্রোরেলের আয় দেখানো হয়েছিল ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা, সেখানে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মাত্র ১৮ দিনেই মেট্রোরেল আয় করে ফেলেছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা।

এমন তথ্য সামনে আসার পর মেট্রোরেল খাতে বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শও দিচ্ছেন নেটিজেনরা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ১ম ধাপে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর হতে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং গত বছরের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু হয়।