অনলাইন ডেস্ক : নিজের সম্পদ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল বিচারক এই সংক্রান্ত এক মামলা আমলে নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ট্রাম্প নিজের অর্থ বেশি উপস্থাপন করেছেন, যা বেআইনি। এই বিষয়ে শুনানি হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের সম্পদের পরিমন বেশি বলে জাহির করেছেন ট্রাম্প। মূলত লোন পাওয়ার সুবিধা নিতে তিনি এই প্রতারণা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১১ থেকে ২০১২ সালের ট্রাম্প, তার দুই সন্তান ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশন তাদের সম্পদ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়। সেই প্রতারণার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়েছেন বিচারক। অভিযোগ প্রমাণ হলে নিউ ইয়র্কে ব্যবসা বন্ধও হয়ে যেতে পারে ট্রাম্পের।
এমনিতেও নিউইয়র্ক স্টেট কোর্টের বিচারক আর্থার এনগোরনের এই ঘোষণা ট্রাম্পের জন্য বড় পরাজয়।বিচারক এনগোরন কিছু সনদ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা ব্যবহার করে ট্রাম্পের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্কে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ‘দ্য ট্রাম্প অরগানাইজেশন।’
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল, ব্যাংকে এবং বীমা সংস্থাকে ট্রাম্প নিজের সম্পত্তির যে হিসেব দিয়েছেন, তাতে তার মূল্য অন্তত দুই দশমিক দুই তিন বিলিয়ন ডলার বেশি দেখানো হয়েছে। লোন পেতে সুবিধা হবে বলেই এভাবে নিজের সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ট্রাম্প। যা বেআইনি।