অনলাইন ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলংকার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ রবিবার সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো পলিটিক্যাল তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হতো। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলত। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে অনেক অপকর্ম হয়। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে। জনস্বার্থে কোনো প্রকল্প দরকার সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই বিষয়টাকে সর্বপ্রথম বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধীরা বলছে সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে। বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাচপুর সেতুতে ১১শ কোটি টাকা সাশ্রয়হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টটেন্স, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্রাকটিস বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিআরটিএ এবং সড়ক বিভাগে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই বিলিভ সো আই হোপ সো। শিক্ষকদের সঙ্গে বসে কথা বলতে পারছি না। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যেকোনো সময় সমাধান হয়ে যাবে।’