অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দিলে ৫৪ টি দেশের নাগরিকেরা শেনজেন ভিসার সুবিধা ভোগ করবেন। তবে ৫৪ দেশের খসড়া ওই তালিকায় নেই বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার আর ভুটান ওই তালিকায় রয়েছে।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। শেনজেন ভিসার মাধ্যমে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অবারিতভাবে ভ্রমণ করা যায়।
ইউরোনিউজ ব্রাসেলসে ইইউর কূটনীতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানায়।
ইউরোনিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইইউর সদস্য দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর কোন দেশগুলো শেনজেনের আওতায় থাকবে না, এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারের আলোচনায় একমত হতে পারেননি। ফলে তাদের আলোচনা শুক্রবার পর্যন্ত চলে। কোন দেশের নাগরিকেরা শেনজেন ভিসা পাবেন আর কোন দেশের নাগরিকেরা পাবেন না তা নিয়ে ইইউ কর্মকর্তারা একমত না হওয়ায় তালিকা নিয়ে এখনই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত ইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, একটি দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কত সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে তালিকা করা হবে। ওই সময় বলা হয়েছিল, ৪৭ টি দেশ শেনজেন ভিসা সুবিধার আওতায় থাকবে।আর তালিকার বাইরে থাকবে ৫৪ টি দেশ। এখন দেখা যাচ্ছে খসড়া তালিকায় ৫৪ টি দেশকে রাখা হয়েছে। যা থেকে আভাষ পাওয়া যাচ্ছে তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যায় হেরফের হবে। আর তালিকা নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় ১ জুলাই থেকে ইইউর সীমান্ত খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে।
তালিকায় একটি দেশকে অর্ন্তভুক্ত করার ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের হারকে যে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছেন ইইউর সদস্য দেশগুলো। সংক্রমণের হার নিয়ে সন্দেহ পোষণকারীদের যুক্তি হচ্ছে এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহামারী নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইসিডিসিকে এগিয়ে আসতে হবে। আর তালিকা প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর হালনাগাদ করতে হবে।
শেনজেনের সুফলভোগী খসড়া তালিকায় বাংলাদেশের নাম থাকার না প্রসঙ্গে আজ রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ইইউ রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তালিকা নিয়ে এক ধরণের অস্পষ্টতা রয়েছে। কারণ সদস্য দেশগুলো এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।