অনলাইন ডেস্ক : লন্ডনে এক স্কুলশিক্ষিকা খুন হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে সাবিনা নেছা নামের ২৮ বছর বয়সী ওই স্কুলশিক্ষিকা নিজের বাসা থেকে বের হয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে খুন হন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লন্ডনের রাস্তায় নারীর নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বিবিসি, গার্ডিয়ান, সিএনএন, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, ব্রিটেনের রাজধানীতে নারীর প্রতি ‘সহিংসতার মহামারি’ সন্ত্রাসবাদ দমনের সমান গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সাবিনা নেছা দক্ষিণ–পূর্ব লন্ডনের গ্রিনউইচের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। তিনি পাঁচ মিনিট দূরত্বের পেগ্লের স্কয়ারের একটি পানশালায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। ক্যাটর পার্ক–সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারের কাছে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
লন্ডন পুলিশ বলেছে, পার্কের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় গোয়েন্দা প্রধান জো গ্যারিটি বলেন, সাবিনা বাসা থেকে বের হয়ে মাত্র পাঁচ মিনিট হাঁটার দূরত্বের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় কমিউনিটির মতো আমরাও শোকাহত হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
পার্কের আশপাশের এলাকায় ওই হামলার সময়ে কেউ থাকলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন জো গ্যারিটি।
যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারের স্যান্ডি এলাকায় বেড়ে উঠেছেন সাবিনা নেছা। ইউনিভার্সিটি অব বেডফোর্ডশায়ারে শিক্ষা নিয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করেছেন তিনি।
সাবিনা নেছা দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের লিউশামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। জুবেল আহমেদ নামের তাঁর এক স্বজন গত বুধবার স্থানীয় আইটিভি নিউজকে বলেন, সাবিনা নেছা একজন সত্যিকার অর্থে দয়ালু এবং অন্যদের প্রতি যত্নবান মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, মানুষ কীভাবে এটা করতে পারে, আমি জানি না। এটা আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় একটা ক্ষতি।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অনেক বেড়েছে। স্কটিশ সরকার ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে দুই শতাধিক নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।