অনলাইন ডেস্ক : দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন বলেছে, তারা এখনো রেসিডেন্সিয়াল স্কুলগুলোর বিষয়ে ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃক পরিচালিত ওইসব আবাসিক স্কুলের বিষয়ে সব তথ্য প্রমাণ সরবরাহের জন্য তৈরি করা আছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কামলুপস আবাসিক স্কুলে নিহত শিশুদের স্বজনদের এক সমাবেশে ট্রুডো বলেন, উপনিবেশিক আমলের আবাসিক স্কুলগুলোর সব রেকর্ড ফেডারেল সরকারের হাতে এসেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করার জন্য এগুলো প্রস্তুত করা আছে। তার ওই মন্তব্যের ২ দিন পর ট্রুথ এন্ড রিকনসিলিয়েশন সেন্টার পাল্টা অভিযোগ করলো যে, তারা এখনো এসব তথ্য প্রমাণ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। সেন্টারের পক্ষ থেকে এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৮৩১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃক পরিচালিত উপনিবেশ আমলের বিভিন্ন আবাসিক স্কুলে গণকবর আবিষ্কার এবং এসব স্কুলের নিহতদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে যেসব তথ্য প্রমাণ দরকার সেগুলো এখনো তাদের হাতে আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই বিবৃতির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তারা বলেছে, ১৪০ টি এ ধরনের স্কুলের বিভিন্ন রেকর্ড তারা উইনিপেগে ট্রুথ কমিশন এ পাঠিয়েছে এবং আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
গত বসন্তে কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের গণকবরে ২০০ আদিবাসী শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পর গত ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রথমবার কামলুপস সফরে যান। সেখানে বিভিন্ন আদিবাসী গ্রæপের নেতারা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তাদেরকে সান্ত¡না ও সমবেদনা জানান এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
ট্রুথ এন্ড রিকনসিলিয়েশন সেন্টার বলছে, সঠিক ক্ষতিপূরণের জন্য নিহত শিশুদের ডেথ সার্টিফিকেট, নিখোঁজ শিশুদের তালিকা, নির্যাতনের শিকার শিশুদের বর্তমান অবস্থা এসব কিছুই স্পষ্টভাবে জানা প্রয়োজন। ২০১৫ সালের ট্রুথ কমিশন গঠনের পর থেকেই তারা এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে। সূত্র : সিবিসি