একুশে ফেব্রুয়ারি
একুশ মানে সারা বিশ্বে মাতৃভাষা চেনা
একুশ মানে মার ভাষাতে সদা কথা বলা,
একুশ মানে রক্ত দিয়ে মাতৃভাষা কেনা
একুশ মানে বাঙালির মাথা উঁচু করে চলা।
একুশ মানে বাংলা ভাষা সবচেয়ে সেরা
একুশ মানে নিজ অস্তিত্বটা শক্ত করে গড়া,
একুশ মানে বাংলা মায়ের ভাষার ঘরে ফেরা
একুশ মানে কারও কাছে মাথা নত না করা।
একুশ মানে গর্ব মোদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি
একুশ মানে শহীদ মিনার – বাংলা ভাষার এক মসজিদ,
একুশ মানে বাংলা ভাষার জন্য বীরের আহুতি
একুশ মানে বাংলার সেই পাঁচ সন্তান হলো ভাষা শহিদ।
একুশ মানে ভাষা রাজপথে রক্ত দিলো বীর বাঙালি পাঁচজন
একুশ মানে অমর হলো সালাম, বরকত, শফিউর, জব্বার, রফিক
একুশ মানে ভাষা শহীদদের রক্তে হয়েছিল বাংলা রক্ষার পণ
একুশ মানে এরাই রক্তাক্ত ভাষার পথের প্রথম পথিক।
একুশ মানে পাকিস্তানি বর্বরের গুলি বীর বাঙালি প্রাণেরে
একুশ মানে আপামর বাঙালির মাতৃভাষা প্রীতি
একুশ মানে বায়ান্নর ফেব্রুয়ারির একুশ, বৃহস্পতিবারে
একুশ মানে বাংলা ভিত গড়ে, করতে পাকিস্তানী স্বৈরাচারের ইতি।
একুশে মানে সারাবিশ্বে সৃষ্টি হলো মাতৃভাষা দিন
একুশ মানে নির্ভিক বাঙালি ভাষাসৈনিক,
একুশ মানে ভাষার তরে রাজপথ হয়েছিল রঙীন
একুশ মানে মাতৃভাষা রক্ষায় বাঙালিরা নির্ভিক।
একুশ মানে সারা বিশ্বে বাঙালি একমাত্র জাতি
মাতৃভাষার জন্য যারা দিয়েছিল মাতৃভূমিতে আহুতি।
একুশে ফেব্রুয়ারি – মাতৃভাষা দিবস
বাংলাদেশে উনিশ শ’ বাহান্ন সালের, ফেব্রুয়ারির একুশ বৃহস্পতিবারে
পাকিস্তানি বর্বরেরা মিছিলের উপর গুলি করে মারলো কত বাঙালি প্রাণেরে।
ভাষা শহিদ হলো যে বীর পাঁচজন – সালাম, বরকত, শফিউর, জব্বার, রফিক,
এরাই সেসব বাঙালি সন্তান, যারা ভাষার রক্তাক্ত পথের প্রথম পথিক।
পাকিস্তানি বর্বরেরা কেড়ে নিতে চেয়েছিল বাংলা বাঙালি মুখের মধুর বোল
বাহান্নতে বাঙালির তাজা রক্ত খেয়ে তারা ভেবেছিল বাঙালি আসলে দুর্বল।
বর্বর ইয়াহিয়া খানের সৈনিকেরা বুঝতে পারেনি বাঙালির মাতৃভাষা প্রীতি
বাংলা ভাষার মহা শক্তিতেই করেছিল বাঙালি পাকিস্তানী স্বৈরাজ্যের ইতি।
ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বাঙালি জাতির মধুমাখা বাংলা কথার বোল
পৃথিবীর বুকে ইউনিসেফও করেছে সবচেয়ে মধুর ভাষা হিসেবেই কবুল।
বায়ান্ন সালের ভাষা শহীদদের স্মরণে বাঙালির সেই মাতৃভাষা দিবস
একুশে ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস- সারা বিশ্বে বাঙালি করালো প্রবেশ
অটোয়া, কানাডা