অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরিকে ফেরত চায় বাংলাদেশ। এ জন্য এই খুনির রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করেছে সরকার।

সরকারের এই তথ্য দেওয়ার ফলে ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত পাবে বাংলাদেশ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

এর আগে ১৭ জুন এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বোর্ড অফ ইমিগ্রেশন আপিলকে রাশেদ চৌধুরীর মামলাটি পুনর্বিবেচনার নোটিস প্রদান করেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য এর সঙ্গে জড়িত সব পক্ষ এবং অন্যান্য বিজ্ঞ আইনজীবী (এমিকি কিউরি)-এর কাছে মতামত চেয়েছেন তিনি। তিনদফা সময় বৃদ্ধির পর গত ১৫ অক্টোবর মতামত জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিচার সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছে সেটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসা উচিৎ।’

‘মার্কিন বিচার বিভাগ প্রথমদিকে হয়তো মনে করতে পারে বিচার প্রক্রিয়াটি প্রতিহিংসার কারণে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানকার মার্কিন দূতাবাস যে কূটনৈতিক চিঠি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে সেখানে বলা হয়নি যে বিচার প্রক্রিয়াটি প্রতিহিংসার কারণে নেওয়া।’ যোগ করেন মিজানুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ‘বরং মার্কিন দূতাবাসের বিভিন্ন পত্রে বলা হয়েছে যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারিক প্রক্রিয়াটি আইনের যে মৌলিক নীতি আছে সেটি অনুসরণ করে করা হয়েছে। সেখানে ব্যত্যয় হয়েছে বলে তারা মনে করে না।’

এখানে কোনও সামারি ট্রায়াল হয়নি। বরং বাংলাদেশে অন্য যেকোনও অপরাধমূলক মামলার মতো সাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়ে আশা দেখা গেছে এবং বিস্তারিত তথ্য মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৩১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বোর্ড রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর করলে এর বিরুদ্ধে আপিল করে ওই দেশের সরকার। ২০০৬ এর ২৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিসকো অভিবাসন আদালত রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে রায় দেয়।