হোসনে আরা জেমী
ধূসর শহরের অলিগলির প্রান্তে কেউ নেই কোথাও
হারিয়ে গিয়েছে ঝিঝি ডাকা শব্দ দূরে
১০২ নম্বর বাসের শেষ স্টপেজে এসেও নামা হলো না।
অর্ধবৃত্ত ঘুরে সেই একই পথ দিয়ে ফেরা
নিজের সাথে নিজের কথা বলা
ভরা জোছনায় পূর্ণ চাঁদ-
কখন সিএন টাওয়ার স্পর্শ করলো-
দূর থেকে তা দেখা গেলো না।
সন্ধ্যা নামার আগেই কোলাহল থেমে যায়
ঝড় বৃষ্টির জলে একা দাঁড়িয়ে,
মেঘ উড়ে যায় পূব-পশ্চিমে-
উওর থেকে দক্ষিণের নীলে।
কিংস্টনে’র রাস্তার শেষ দেখার আগেই
সন্ধ্যা ঘনায়,
প্রিয় কবিতা আওরানোর আগেই-
এক দলছুট মেঘ ভিজিয়ে দিয়ে চলে যায় দূরে।
এখনো ঝড়-বৃষ্টিতে শুনি আগাম বন্যার আগমন
ভাসিয়ে দেয় মাঠের ফসল
ভেসে যায় প্রিয় পুতুল
ঝাপসা হয়ে যায় সেই দুঃসহ দিনগুলো
তবুও, মনে আছে সেই দিনগুলো।
মনে আছে কি তোমার
খবর শোনার আসর জমতো খাংকা ঘরের বারান্দায়,
আর উৎসুক দৃষ্টি যেতো দূরের হাইওয়েতে
অন্ধকারে গুনে চলতে শত্রু পক্ষের গাড়ির হেডলাইট?
স্বাক্ষী ছিলো দূরের গাছ, সবুজ ধান ক্ষেত
স্বাক্ষী ছিলাম আমিও
কত কত অচেনা মানুষ
আর সেই আশ্চর্য মেঘদল।
মনে আছে সেই নারকীয় দিনগুলোর কথা
শত শত হত্যার কথা শহরের অলি-গলিতে
মাঠে-ঘাটে, পুকুরে, ডোবায়, নদীতে
কত কিছু হারিয়ে পৃথিবীর আলো দেখলো একটা নতুন দেশ
পেলো লাল সবুজে আঁকা একটি নতুন পাতাকা।
টরন্টো