রবার্ট ইগার : (দা ওয়াল্ট ডিজনী কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসাবে রবার্ট ইগারের পনের বছরে অর্জিত শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা। ২০০৫ সালে রবার্ট ইগার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন যখন কোম্পানি এ যাবত কালে সর্বাধিক সঙ্কটময় পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে। তিনটি মূলনীতির উপর ভর করে তিনি এগুলেন এক. গুণগত মানের শ্রেষ্ঠতা বজায় রাখা, দুই. নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে প্রতিযোগিতা না করে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং তিন. গন্ডির বাইরে বিশ্বব্যাপী নিজেদের চিন্তা-চেতনার প্রসার ঘটানো। চৌদ্দ বছরে তিনি ডিজনিকে পৃথিবীর সর্ববৃহত মর্যাদাসম্পন্ন মিডিয়া কোম্পানিতে রূপান্তর করলেন। এখন পিক্সার, মার্ভেল, লুকাসফিল্ম, টুয়েন্টি ওয়ান সেঞ্চুরি ফক্স প্রভৃতি স্বনামধন্য কোম্পানির মালিক দা ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি। রবার্ট ইগারের লেখা “দা রাইড অফ এ লাইফ টাইম” সাপ্তাহিক ‘বাংলা কাগজ’এ ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ করছেন উন্নয়ন সংগঠক ও অনুবাদক কোরবান আলী)
তেতাল্লিশ.
দশম অধ্যায়
মার্ভেল এবং মার্ভেল সংশ্লিষ্ট বিশাল ঝুঁকি
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) প্রায় প্রতি ত্রয়মাসিক সভার আগে আমার হাতের নাগালে থাকা মার্ভেল এনসাইক্লোপিডিয়া পড়ি, মার্ভেলের কাল্পনিক চরিত্র গুলোর মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করি এবং কোনটি আমাকে উত্তেজিত করে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করি। কোনটি কৌতূহল উদ্দীপক হলে সেটির উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে উতসাহিত করি। কেভিন তখনও আইকের কাছে দ্বায়বদ্ধ এবং তখনও নিউ ইয়র্কের মার্ভেল দল স্টুডিওর সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমার বিকল্প চিন্তার বিষয়টি এই সভায় উপস্থাপন করি। এতদিন মার্ভেল চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে শ্বেতাঙ্গ পুরুষ চরিত্র নিয়ে। যখন আমি বললাম এই চিন্তা ধারার পরিবর্তন হওয়া উচিত তখন কেভিন আমার সাথে একমত হলেন কিন্তু নিউ ইয়র্কের মার্ভেল টিম সন্দিহান হয়ে উঠলেন, বললেন এ ধারণা কাজ করবে না। আমি নিউ ইয়র্কের মার্ভেল টিমকে আমার উদ্বেগ নিয়ে আলোচনার জন্য সভা ডাকলাম। তাদের একজন বললেন, ‘নারী সুপারহিরো কখনই বক্স অফিসে বিশাল আয় অর্জন করতে পারবে না।’ তাদের আার একটা অনুমান ছিল আন্তর্জাতিক দর্শকরা কৃষ্ণাঙ্গ সুপারহিরো দেখতে চাইবেন না।
পুরানো কুসংষ্কার, যার মধ্যে কোন নূতনত্ব বা আকর্ষণ নেই আমি তা বিশ্বাস করি না। কাজেই যে চরিত্রগুলো মার্ভেল তাদের নিজেদের চলচ্চিত্রে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম। কেভিন ব্ল্যাক প্যান্থারের কথা উচ্চারণ করলেন, যাকে ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’ স্ক্রিপ্টে লেখা হবে। অ্যালান এবং আমি দুজনেই কৌতূহলী হয়ে উঠলাম। চ্যাডউইক বোসম্যান যিনি ‘৪২’ সিনেমায় জ্যাকি রবিনসন চরিত্রে অভিনয় করে উচ্ছসিত প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি ব্ল্যাক প্যান্থার চরিত্রে অভিনয় করবেন। তিনি একজন চৌকস আকর্ষণীয় অভিনেতা। আমি সহজেই তাকে একজন শীর্ষস্থানীয় মার্ভেল চরিত্রে দেখতে পাচ্ছিলাম।
সে সময় ড্যান বাকলি যিনি মার্ভেলের টেলিভিশন এবং কমিক বইএর ব্যবসা পরিচালনা করতেন তিনি আমাকে লেখক টা-নেহিসি কোটসের কথা বললেন, যাকে আমি সমসাময়িক আমেরিকান সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর বলে মনে করি তিনি আমাদের জন্য ব্ল্যাক প্যান্থার কমিক লিখেছেন। আমি ড্যানকে কমিক বইটি পাঠাতে বললাম। টা-নেহিসির পরিশিলিত গল্প বলার ভঙ্গি এবং লেখক চরিত্রের এত গভীরে প্রবেশ করেছেন যে আমি রীতিমত বিস্মিত হলাম। আমি এতই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম যে বইটি পড়ে শেষ করার আগেই আমি মনে মনে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’কে মার্ভেলের অপরিহার্য প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
নিউ ইয়র্কের সংশয়বাদী মার্ভেল টিমই একমাত্র স্বত্বা ছিলেন না যারা মনে করতেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ সুপারহিরোর চলচ্চিত্র বক্স অফিসে ভালো আয় করতে পারবে না। হলিউডের দীর্ঘকালের লালিত ধ্যান ধারণা ছিল যে ছায়াছবিতে প্রধান চরিত্র কৃষ্ণাঙ্গ বা কালো নেতৃত্ব সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র অনেক আন্তর্জাতিক বাজারে হোঁচট খাবে। যে সন্দেহের করণে কালো নেতৃত্বাধীন ছায়াছবির সংখ্যা সীমিত আকারে নির্মিত হয়েছে এবং কালো অভিনেতা-অভিনেতৃদের তেমন মূল্যায়নই করা হয়নি। যেগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর বাজেটে অনেক কাটছাট করা হয়েছে যাতে বক্স অফিসের আয়ের ঝুঁকি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়।
আমি চলচ্চিত্র ব্যবসার সাথে দীর্ঘ পথ হেঁটেছি শুনেছি বইয়ের পাতার পুরানো যুক্তিগুলো এবং আমি সেই পুরানো যুক্তিগুলো থেকেই শিখেছি পুরানো গতানুগতিক চিন্তা চেতনা থেকে বেড়িয়ে আসা প্রয়োজন। পৃথিবী এখন কোন পথে হাঁটছে এবং পৃথিবীর কোন পথে হাঁটা উচিত সে বিষয়ে চিন্তা চেতনার প্রসার ঘটাতে হবে। আমরা একটা দুর্দান্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ পেয়েছি এবং একই সাথে আমেরিকার সুবিধা বঞ্চিত অপ্রতিনিধিত্বশীল জনগোষ্ঠিকে সামনের কাতারে তুলে আনার সুযোগ। আবার এ দুটি পরাস্পর বিরোধী নয়। আমি আইককে ফোন করে তার দলকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে নিষেধ করলাম এবং ব্ল্যাক প্যান্থার এবং ক্যাপ্টেন মার্ভেল নির্মাণের নির্দেশ দিলাম।
আইক গুরুত্ব সহকারে আমার অনুরোধ বিবেচনা করলেন।
![](https://i0.wp.com/www.banglakagoj.com/wp-content/uploads/2022/03/Bk-4-6.jpg?resize=696%2C781&ssl=1)
আমরা অবিলম্বে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ নির্মাণ শুরু করি এবং ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’ ব্ল্যাক প্যান্থার নির্মাণের অব্যবহিত পরেই নির্মাণ কাজে হাত দেই। দুটি সিনেমাই প্রতিটি পুরানো ধারণাকে অতিক্রম করেছে। ব্ল্যাক প্যান্থার সর্বকালের চতুর্থ-সর্বোচ্চ আয়কারী সুপারহিরো চলচ্চিত্র এবং ক্যাপ্টেন মার্ভেল দশম। দুটি ছবিই ভালো আয় করেছে, ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আন্তর্জাতিকভাবে দুটি ছবিই অসাধারণ সফল্য পেয়েছে। এদুটি ছবি সাংস্কৃতিকভাবে যা অর্জন করেছে তা আরো গুরুত্বপূর্ণ, আরও উল্লেখযোগ্য।
ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এটি কেবল আমার বাড়িতে যাচাই বাছাইয়ের সময় বা স্টুডিওতে ছোট্ট একটা দলের সাথে দেখেছি। আমি জানতাম আমরা বিশেষ কিছু নির্মাণ করেছি, কিন্তু আপনি কখনই সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হতে পারবেন না এটিকে মানুষ কিভাবে গ্রহণ করবেন। তবুও, মানুষের সাথে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করার আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য আমার এক মুহূর্ত দেড়ি সহ্য হয়নি। মানুষের প্রতিক্রিয়া স্বচোক্ষ দেখে অনুভব করার স্বাদ পাওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে পারিনি। আলো নিভে যাওয়ার আগে দীর্ঘক্ষণব্যাপী সিনেমা হলে মানুষজন মুখরিত ছিলেন। সহজেই অনুমান করা যাচ্ছিল নজির বিহীন কিছু ঘটতে যাচ্ছে যা দেখার জন্য মানুষ উন্মূখ হয়ে অপেক্ষা করছে। ঐতিহাসিক কিছু ঘটবে যার জন্য মানুষ অপেক্ষায় আছে। সিনেমাটি তাদের সমস্ত প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
পরে ব্ল্যাক প্যান্থারের প্রশংসা সূচক অনেক ফোনকল পেয়েছি এবং চিঠি পেয়েছি। আমি আমার কর্মজীবনে অনেক কিছুর সাথে যুক্ত ছিলাম এবং সফলতার সংখ্যাও নেহায়েত কম না। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক প্রশংসা সূচক বার্তা কখনও পায়নি। স্পাইক লি (একজন আমেরিকান চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা এবং অধ্যাপক) এবং ডেনজেল ওয়াশিংটন (একজন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক) এবং গেইল কিং (একজন আমেরিকান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং সিবিএস নিউজের স¤প্রচার সাংবাদিক) কেউ বাদ গেলেন না, সকলেই মানুষের জন্য কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানালেন। আমি আমার একজন প্রোডাকশন সহকারীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ব্ল্যাক প্যান্থারের একটা কপি সরবরাহ করলাম এবং পরে যখন আমি তার সাথে কথা বলি তখন তিনি বললেন তিনি বিশ্বাস করেন ছবিটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। অপরাহ একটা চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার একটা ঘটনা। ছবিটা দেখে আমি কান্না আটকে রাখতে পারিনি। ছোট্ট কালো ছেলেমেয়েরা চিরকাল এই চিন্তা চেতনা নিয়ে বড় হবে।’ আমাদের তৈরি করা এমন কোন পণ্য নেই যার জন্য আমি ব্ল্যাক প্যান্থারের চেয়ে বেশি গর্ববোধ করি। ব্ল্যাক প্যান্থারের উদ্বোধনী সপ্তাহের পরে ছবিটি নিয়ে আমি আমার গর্ব শেয়ার করার প্রয়োজন বোধ করি। কোম্পানির প্রত্যেকের কাছে আমার লেখা নিমোক্ত চিঠিটা পাঠায়ঃ
প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,
ব্ল্যাক প্যান্থার সম্পর্কে দারুণ খবর শেয়ার করার শুরুতে ‘ওয়াকান্ডা চিরজীবি হোক’কথাটি দিয়ে শুরু না করা কঠিন। মার্ভেলের ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমা একটি মাস্টারপিস নির্মাণ। একটা চলচ্চিত্র যখন একাধিক স্তরে সফল হয়, হৃদয় স্পর্শ করে এবং মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটায়…….লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনোদন দেয় এবং বক্স অফিসে অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয় তখন এটি নিয়ে আনন্দ শেয়ার করা অপরিহার্য। এই যুগান্তকারী সিনেমাটি রেকর্ড ব্রেক ২৪২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। এটি আমেরকিার অভ্যন্তরীণ বক্স অফিসের আয় এবং সিনেমার ইতিহাসে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার দিনের উদ্বোধনী আয়। বিশ্বব্যাপী বক্স অফিস সমূহে এখন পর্যন্ত ৪২৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় হয়েছে। বিশ্ববাজারের বেশ কিছু প্রধান অংশে এখনও সিনেমাটি মুক্তি পাবার অপেক্ষায় আছে। ব্ল্যাক প্যান্থার তাত্ক্ষণিকভাবে সাংস্কৃতিক বিষ্ময়ে পরিণত হয়েছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, মানুষের মনে প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, তরুণ এবং বৃদ্ধ লোকেদের অনুপ্রাণিত করছে এবং চিত্রজগতের পুরোনো মিথ ভেঙে ফেলেছে। এই অসাধারণ কোম্পানির সিইও হিসেবে আমি আমাদের সৃষ্টি চলচ্চিত্রটির প্রসংশা সূচক অনেক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। আমার দীর্ঘ ১২ বছর ব্যাপী সিইও পদে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনও এমন নির্ভেজাল উত্তেজনার অপ্রতিরোধ্য বহিঃপ্রকাশ দেখিনি। আমি ব্ল্যাক প্যান্থারের জন্য যে প্রশংসা, সম্মান এবং কৃতজ্ঞতা পেয়েছি তা আর কখনও পায়নি। সিনেমাটির ভিন্ন কণ্ঠস্বর এবং ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখার গুরুত্বের কথা বলে। আমাদের সমাজের সমস্ত সেক্টরে শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। সর্বপরি আমাদের শিল্প এবং বিনোদন জগতকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো প্রতিনিধিত্ব করছে। সিনেমাটির সাফলতা আমাদের কোম্পানির সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণের মানুষিকতার কথাই প্রমাণ করে। প্রমান করে আমরা শ্রেষ্ঠ ও শক্তিশালী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ। আরও প্রমান করে আমরা নিখুঁতভাবে একটি উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপায়ন করার ক্ষমতা রাখি। আমরা বিষ্ময়কর বিনোদন সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর। ক্ষুধার্ত বিশ্বের বিনোদনের জন্য নতুন নতুন নায়ক, নতুন নতুন রোল মডেল আনতে সক্ষম এবং আমাদের গল্প বলার ঢং দুর্দান্ত।
একাদশ অধ্যায়
স্টার ওয়ারস
আমি মনে প্রানে চাচ্ছিলাম স্টিভ যদি এখনও আমাদের মাঝে থকতেন তিনি যদি দেখতেন মার্ভেলে আমাদের বিনিয়োগ কোথায় যেয়ে ঠেকেছে। তিনি সম্ভবত কখনই সিনেমাকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না (তবুও আমার মনে হয় তিনি তার গতানুগতিক রীতি অনুসারে ঝড়ের গতিতে আমার কাছে উড়ে আসতেন আর ব্ল্যাক প্যান্থার এবং ক্যাপ্টেন মার্ভেলের প্রশংসা করতেন) । তবে তিনি নিশ্চতভাবে গর্ববোধ করতেন যে তিনি আইককে আমাদের কোম্পানিতে আনার জন্য যথেষ্ট সহায়তা করেছেন আর তিনি ডিজনি ব্র্যান্ডের অধীনে এসে এত উন্নতি লাভ করলেন।
স্টিভের মৃত্যুর পর থেকে কোম্পানির প্রতিটি সাফল্যের সময় আমার মাঝে সবসময় একটা মুহূর্ত থাকত যখন আমি উত্তেজনা অনুভব করতাম, ভাবতাম এখন যদি স্টিভ আমার পাশে থাকতেন। তার সাথে কথোপকথন না হওয়া আমার কাছে একটা অসম্ভব বিষয় মনে হত। মনে হত আমি যদি তাকে আবার বাস্তব জীবনে ফিরে পেতাম। (চলবে)
কোরবান আলী: অন্বুাদক, টরন্টো, কানাডা