অনলাইন ডেস্ক : ক্রমেই তীব্র হচ্ছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর সংঘাত। যেকোনো সময় শুরু হয়ে যেতে পারে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ। দুই পক্ষই বলছে তারা যুদ্ধ চায় না। তবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
সংঘাতের তীব্রতা কম থাকলেও গত কয়েক মাস ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই উত্তেজনা নতুন করে তীব্রতা পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ রবিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শত শত রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বৈরুতে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর থেকেই তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ১১টি সামরিক অবস্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির দাবি, এসব অবস্থানে হামলা সফল হয়েছে। তারা আরও জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই হামলায় মোট ৩২০টি কাতিউশা রকেট ও অসংখ্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল। জরুরি অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে সেনাবাহিনী। এরমধ্যে নির্ধারিত এলাকায় চলাফেরা না করা ও জনসমাগম সীমিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রায় ১০০টি ফাইটার জেট নিয়ে লেবাননে প্রবেশ করে ও হিজবুল্লাহ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের পর এবারই প্রথম এত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এই অঞ্চল।