অনলাইন ডেস্ক : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনকে পারমাণবকি হুমকি উল্লেখ করে নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে চলতি বছরেরে মার্চ মাসে বিশেষ কর্মপরিকল্পনারও অনুমোদন দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

চীনবিরোধী এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বেইজিং। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় কৌশলগত ঝুঁকি ও পারমাণবিক হুমকি হলো যুক্তরাষ্ট্র।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, নিজেদের নিরস্ত্রীকরণ এড়াতে ও পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার শক্তিশালী করার অজুহাত হিসেবে চীনকে হুমকি হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের মজুদের তুলনায় চীনের মজুদ কিছুই নয়। এবং সবসময়ই তা সর্বনিম্ন স্তরে রাখা হয়। একই সাথে চীনের পরমাণু নীতি কেবল আত্মরক্ষার জন্য, কারো ওপর হামলা চালানোর জন্য নয়।

মাও বলেন, চীন কোনো দেশের সাথেই অস্ত্র বানানোর প্রতিযোগিতায় নামতে আগ্রহী নয়। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার। সেই সাথে আত্মরক্ষা নয়, তারা আক্রমণের নীতিতে বিশ্বাসী। পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বাড়াতে ওয়াশিংটন ক্রমাগত বিশাল বিনিয়োগ করছে। কিন্তু হুমকি আখ্যা দিয়ে অন্য দেশের পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তি ঠেকিয়ে দিতে উদগ্রীব। মূলত সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক হুমকি যুক্তরাষ্ট্র নিজে।

যুক্তরাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল পরমাণু নীতি অনুসরণ করে যথাযথ নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন। পরমাণু ঝুঁকি এড়াতে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সীমিত করে আনা ও অন্যান্য দেশকে পরমাণু প্রযুক্তি দেয়া বা পারমাণবিক মিত্র বাড়ানোর পথ থেকে সরে আসারও আহ্বান জানানো হয়েছে।