সোনা কান্তি বড়ুয়া : হেফাজতে ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনায় শনিবার বিক্ষোভ ও রোববার হরতাল ডাকে (যুগান্তর প্রতিবেদন, ২৮ মার্চ ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম)। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি! মৌলবাদীরা ইসলামকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কটূক্তি করে যাচ্ছে! বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা, ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি থানায় হামলা, ভাংচুর, অস্ত্র লুটসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বায়তুল মোকাররম এর সংঘর্ষের লাইভ NEWS দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পুত্র মাসুদ সাঈদীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে স¤প্রচার হয়েছে।
বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে ৫০টি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারকে, কে বা কারা উড়ো চিঠি দেয়। ইসলাম গ্রহণে হিন্দুদের চিঠি: গ্রেফতার ৪ জন রিমান্ডে (ইত্তেফাক/এনএ, মাগুরা প্রতিনিধি ২৫ মার্চ, ২০২১)।
ঠেমাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়ের ৫০ পরিবারকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার চার জনকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। চার আসামি হলেন; ইউসুফ বিশ্বাস ইবনুল, কোরবান আলী, হাবিবুর রহমান ও মোস্তাকিম বিল্লা।
ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে – এইটাই চরম সত্য। বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকে আমরা ইসলামের অপব্যবহার দেখেছি রাজাকারদের পাশবিক আচরনে। রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন রাজাকার শাহ আজিজকে। আর ‘রাজাকার রাজাকার ভাই ভাই, পাকিস্তানি ঐক্য চাই’ এই আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে জিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী একাত্তরের খুনি গোলাম আযমকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছিল।
আত্মঘাতী ইসলামের নামে স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি! বঙ্গবন্ধু গোলাম আযমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন। এদের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা হত্যা, লুটপাট, লাঞ্চ ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, বিচার করে শান্তি দিয়েছিলেন। এমনকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কাদের কারসাজিতে তারা শাস্তি পেল না, আশা করি সচেতন সমাজ একদিন খুঁজে বের করলেন এবং জনসমক্ষে তা প্রচার করবেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ISLAM ব্যবহার করা হইছে এই অপকর্মটা করছিলো আজকের কাঠমোল্লাদের পূর্বসূরীরা! যারা জামায়াতে ইসলামীর লগে মিল্যা মুজাহিদ আর রাজাকার বাহিনী গঠন করছিলো। এখন প্রশ্ন, এসব দালালকে দেশে ফিরিয়ে আনলো কে? রাজনীতি করবার সুযোগ দিয়েছে কে? মহান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলে প্রচার করা হয়, সেই মেজর জিয়াউর রহমান। যিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। মওলানা মান্নান, আব্দুল আলীমসহ কুখ্যাত রাজাকারদের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে নিয়ে তার মন্ত্রিসভা সাজিয়েছিলেন।
একটা মুসলমান রাষ্ট্র ও শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে dated August 16, 1975? একটা মুসলমান রাষ্ট্র ও To save বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ করেছিল কি? NO! Only ভারত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ করেছিল! বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলেন এবং আশ্চর্য্যের বিষয়, অহু মুসলিম দেশ ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ করেছিল নষ!
বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকে আমরা ইসলামের অপব্যবহার দেখেছি রাজাকারদের পাশবিক আচরনে। ভূমি ও দেশদখল করার নাম মুসলমান ধর্ম!
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ, ২০২১) মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাবুবা শরমীন এই আদেশ দেন। মাগুরা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান সিরাজ বলেন, এ ঘটনায় তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরগোয়ালদহ ও মালাইনগর গ্রামে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে ৫০টি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারকে কে বা কারা উড়ো চিঠি দেয়। গত শুক্রবার রাতের বেলায় মোটরসাইকেলে করে মাথায় হেলমেট লাগিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়েকজন যুবক এই চিঠি দিয়ে যায়। চিঠি পড়ে এলাকার হিন্দু সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় চরগোয়ালদহ গ্রামের অসিম মন্ডল বাদী হয়ে ২১জনকে আসামী করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রাঙ্গুনিয়ায় শরনংকর ভিক্ষু এবং সুনামগঞ্জে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে কোলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধন। হাকিকুল ইসলাম খোকন: (সিনিয়র রিপোর্টার) গত ২৫শে মার্চ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স¤প্রতি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ এবং চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ায় সংখ্যালঘু হিন্দু এবং বৌদ্ধদের উপর তথাকথিত যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ নাম ধারী অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী স্বাধীন মেম্বার এবং এরশাদ মাহমুদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় যে নির্যাতন নিপীড়ন শুরু হয়েছে তাঁর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ভারতের বাংলাদেশ উদ্বাস্তু উন্নয়ন সংসদের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি বিমল মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচ কোটি হিন্দু নিরাপত্তা হীনতার কারণে সহায় সম্বল হারিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন বস্তিতে, রেল লাইনের ধারে এবং পরিত্যক্ত এলাকায় এ সকল হিন্দুরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের পরিমানণ কমে যাওয়ার পরিবর্তে আরো অত্যাধিক বেড়ে গেছে। বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বেদখল করার জন্য চট্রগ্রামের মানবতাবাদী আধ্যাত্মিক বৌদ্ধ ভিক্ষু শরনংকর থেরোকে তাঁর বৌদ্ধ বিহার থেকে বিতাড়িত করে ঢাকা বৌদ্ধ বিহারে গৃহবন্দী করে রেখেছে। সুনামগঞ্জ হামলার মূল হোতা যুবলীগের স্থানীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বাধীন ওরফে স্বাধীন মেম্বারকে এবং রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদ ওরফে গয়াল এরশাদ একই সা¤প্রদায়িক কৌশল অবলম্বন করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামে বাঙালি মুসলমান ঢুকিয়ে দিয়ে হাজার বছরের পাহাড়ী আদিবাসী উপজাতিদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোন ঘটনার বিচার কোন সরকার করেনি। ফলে বিচার হীনতার কারণে নির্যাতন বেড়েই চলেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত দুই কোটি বাঙালি মুসলমানকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই সা¤প্রদায়িক মুলমানেরা সর্বত্র অমুসলিমদের অত্যাচার নির্যাতন এবং নিধন করে মুসলিম রাজত্ব কায়েম করার এক হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত। তিনি পশ্চিম বাংলার জনগণকে এ সকল সা¤প্রদায়িক শক্তিকে দমন করার জন্য আহবান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যা লঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের অত্যাচার নির্যাতন করেলে, তাঁর প্রভাব ভারতে পড়তে বাধ্য। পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা অনেক সহ্য করেছে। এবার আর নয়। সম্মেলনের পূর্বে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার হরতালের দিনও ঢাকাসহ সারা দেশে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ, হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলা, এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে দিনভর। রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই দুই দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১০ ও চট্টগ্রামে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তা না হলে জনগণের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত দুই দিন ধরে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেলস্টেশন ও রাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িঘর, মানবসম্পদের ক্ষতি করেছে। এই জাতীয় ক্ষয়সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধের জন্য আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তা না হলে জনগণের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে- একটি মহল এতিম ছাত্র ও শিশুদের রাস্তায় নামিয়ে সরকারি সম্পদ ধ্বংসসহ নানা ধরনের অপকর্ম করছে। প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, আইন অমান্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া নাশকতামূলক কাজে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বাধীনতাবিরোধীরা ধর্মের নামে রাজনীতি করে মিথ্যাচার করছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন! ২৮ মার্চ ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম। অনলাইন সংস্করণ
১১ স্বাধীনতাবিরোধীরা ধর্মের নামে রাজনীতি করে মানুষকে মিথ্যাচার করছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে জনগণকে ভুল বুঝিয়েছেন, আজকে তারাই ধর্মের নামে রাজনীতি করে মানুষকে মিথ্যাচার করছেন। পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিপথগামী করতে চান তারা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের মানুষ করে গেছেন। বাঙালিরা যা বলে তা করে, তা তিনি প্রমাণ করে গেছেন। বাঙালিরা শত শত বছর ধরে ছিল শাসিত। বাঙালিরা কোনো দিন শাসন করতে পারেননি, সেই বাঙালিদের বঙ্গবন্ধু শাসক বানিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।’
রোববার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোরআন সুন্নাহর আলোকে দেশ তৈরির জন্য যে ওয়াদা করে গেছেন, সে ওয়াদা তিনি পালন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোরআন সুন্নাহর আলোকে মানুষের কল্যাণে কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। যারা স্বাধীনতাকে মেনে নেননি তারা বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া ও চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিয়ে মিথ্যাচার করেও কামিয়াব হবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা কোরআনের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চান, তারা কোনো দিনও সফল হবেন না। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে ১৭ কোটি মানুষের অবিচল আস্থা রয়েছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে আমাদের অর্জন বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, এ দেশকে তারা কিছুই দেননি। তারা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষকে বিপথগামী করতে চেয়েছিলেন।’
মিথ্যাচার না করে স্বাধীনতার সত্য ইতিহাসকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী। লালমনিরহাট জেলার জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ভুটানই প্রথম দেশ, যারা স্বাধীন বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে।” বুধবার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অষ্টম দিনের আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, সেই সঙ্গে আমার মাকে গ্রেফতার করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভের আগেই ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। সে দিনটির কথা আমি কখনও ভুলতে পারি না। কারণ, তখন আমরা বন্দি শিবিরে ছিলাম। আমি ও আমার ছোট বোন রেহানা, ছোট্ট রাসেল, জয় তখন মাত্র ৫ মাসের একটি শিশু, আমরা তখন সবাই বন্দিখানায়। আমরা ভুটানের জনগণের সেই অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করি। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য আমরা ২০১২ সালে ভুটানের মহামান্য তৃতীয় রাজা জিগমে দোর্জি ওয়াংচুককে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননায় ভূষিত করেছি।’ তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুটান আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। ভৌগোলিক নৈকট্য ছাড়াও আমাদের রয়েছে প্রায় একই ধরনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান প্রায় এক এবং অভিন্ন। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বহু প্রাচীন। দশম শতাব্দীতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণকারী বৌদ্ধ ধর্মগুরু মহাসিদ্ধ তিলোপা তিব্বত-ভুটানে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের প্রয়াত মহামান্য তৃতীয় রাজা জিগমে দোর্জি ওয়াংচুক এবং সে দেশের জনগণ স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের শুধু সমর্থনই দেননি, সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভুটানের তরুণরা ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আহত এবং অসুস্থ বাঙালি শরণার্থীদের সেবা করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, “উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভুটানি ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে চিকিৎসাশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। আজকের সম্মানিত অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা বিদ্যায় গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।”
রাজাকারগণ ইসলামের নামে একাত্তরের ২৫শে মার্চের রাত্রিতে পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খানের ৯৪ হাজার সৈন্যবাহিনীকে সাহার্য করেছিল এবং বারশত মাইল দূরের বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনতাকে তিলে তিলে হত্যা করেছে। ইসলামের নামে আল্লাহের আমানত নর নারী সহ শিশু (আশরাফুল মাকলুকাত) হত্যা করেছে দিনের পর দিন। মৌলবাদীরা ধর্মের মুখোষ পরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে তিলে তিলে ধ্বংস করবে।
মৌলবাদী গোষ্ঠি ঘরের শত্রæ বিভীষণ রুপে রাজাকার নামে বাংলাদেশ ও বাঙালি হত্যাযজ্ঞে স্বাধীনতার বেঈমানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ইসলাম ধর্মের নামে অহং সর্বস্ব পাকিস্তান রাজনীতি ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে অপব্যবহার করে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা, ২ লক্ষ মা – বোনকে ধর্ষন এবং বুদ্বিজীবি হত্যা করেছিল। মৌলবাদী ইসলাম ধর্মের বইতে মানবতার অশনি সংকেত!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!