১. জটিল

নিদর্শনগুলো জ্যামিতি’র মত জটিল হয়।
পুরনোগুলো আরও বেশি এঁকেবেঁকে থাকে।
একটি ঘরের মধ্যে অনেক ঘর হয়
কোনটি চতুর্ভুজ, বহুভুজ, ত্রিকোণ কোনটি আবার জটিল কোণ।
কোণগুলোকে, কাঁটা কম্পাস, স্কেল আর চাঁদা দিয়ে
মাপতে যাই
মেলে না জ্যামিতি’র অংক।
ঘরের মধ্যে অনেক ঘর
সম্পাদ্য নাকি উপপাদ্য
বুঝতে পারি না।
ঘরের মানুষজনকে
মাঝে মাঝে জ্যামিতির মত দুর্বোধ্য মনে হয়।
কি জটিল, জটিল জটিল!

২. মেঘ উড়ছে

মেঘের উড়ে যাওয়া দেখছি-
সাদা উজ্জ্বল মেঘ উড়ছে আকাশে।
নীল আকাশ ছুঁয়ে দেখতে চাইছে মেঘমালাকে
উড়ছে মেঘ,
মেঘের ভেতর দিয়ে চলে গেল একটি প্লেন!
দারুণ! মেঘকে বিশাল আকাশ ছুঁতে পারেনি,
প্লেন ঠিকঠাক মেঘের বুকের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে গেল।
আটলান্টিকের উপক‚লে নীল নীর ছুঁয়ে
আবার সরে গেল।
রেখে গেল ঝিনুকের খোলস
আর ছোট ছোট মৃত শামুক।
ভাবছি, মেঘের বয়স বাড়ে না মনে হয়।
ঋড়ঋতুতে নানারূপ হয়; যা একই রকম।
শীতে শান্ত উজ্জ্বল মেঘ ভেসে যাচ্ছে বাতাস বন্ধুকে ভর করে।
কি চমৎকার! চমৎকার! চমৎকার।
আমরা প্রকৃতির বাসিন্দা।
মানুষের আর জীবের বয়স বাড়ে
আকাশ, মেঘ, সমুদ্রের বয়স বাড়ে না মনে হয়।

৩. মৌমাছি

আমায় বলো, মৌমাছি কি ফুলের প্রেমিক?
নাকি মধু লোভে প্রেম করে ক্ষণিক?
যে ঠেলা গাড়ি বয়ে যায় তার কষ্ট কে বোঝে?
মেঠো-কাঁদা পথ নাকি সে নিজেই?
কত বাহারি রঙের ফুল ফোটে?
মানুষ কি সব ফুলকে কাছে টানে?
মৌমাছি কি সব ফুলে বসে?

৪. একাকী ভিজবো সেই পবিত্র জলে
(উৎসর্গ : কবি মাকিদ হায়দারকে)

আমর কি করা উচিত?
আমার কবিতা থেকে বের হতে পারছি না কিছুতেই
অনেক চেষ্টা করছি, তবুও আমার শব্দ আমাকেই আটকে দিচ্ছে।
আটকে যাচ্ছি আমারই শব্দ বুননে তৈরী শব্দের মধ্যে।
বের হয়ে আসতে চাই আমার শব্দের বেড়াজাল ছিঁড়ে।
আমার কবিতার কাছে বারবার মিনতী করছি
আমাকে বেড়িয়ে আসতে দাও।
আমি নতুন শব্দের খেলায় মেতে উঠি, পারছি না।
আমাকে কিছুতেই বের হতে দিতে চাইছে না,
আমারই বুননে সেই শব্দ।
ভাবছি কবিতা এখন আর লিখবো না
তারচেয়ে বরং মেঘহীন আকাশের চাই জল।
যদি দয়া হয় মেঘে মেঘে ভরে যাবে আকাশ
নামবে জল-বৃষ্টি, আমি একাকী ভিজবো সেই পবিত্র জলে।
ফ্লোরিডা, ইউএসএ