অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির (পিআরএম) আওতায় দেশে ফিরলেন ৬১ হাজার ৫৪ জন অবৈধ বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে চলতি মাসের ৯ জুন পর্যন্ত ৭০ হাজার ৩৭৯ জন অবৈধ বাংলাদেশি নাম নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ৯ জুন পর্যন্ত নিজ দেশে ফিরেছেন ৬১ হাজার ৫৪ জন।

প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে চলে যেতে প্রতিনিয়ত আহ্বান জানাচ্ছে দেশটির সরকার ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের ধারণা, বিভিন্ন দেশের ৩ থেকে ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসী এই কর্মসূচির আওতায় শাস্তি ছাড়াই নিজ নিজ দেশে ফিরবে।

দেশে ফিরতে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে ভিড় করছেন অভিবাসীরা। এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগের অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছে হাজারও মানুষ। ঘোষণা অনুযায়ী দেশে ফিরতে হলে সরাসরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে ইমিগ্রেশন বিভাগের। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ওয়ানওয়ে এয়ার টিকিট ও পাসপোর্ট। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের সংগ্রহ করতে হবে নিজ নিজ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পারমিট। এরপরে ইমিগ্রেশন বিভাগে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে স্পেশাল পাস দিলে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবে অবৈধরা। দেশে ফেরা প্রবাসীদের এই তালিকায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশ লম্বা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে প্রতিদিন সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। বৈধ পাস/পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ ভ্রমণ ভিসা নেই এমন বিদেশিদের বিষয়ে তথ্য এবং জনসাধারণের দেওয়া সন্ধানের ভিত্তিতে গোটা মালয়েশিয়ার হটস্পটগুলোতে অপারেসি সাপু, অপারেসি সেলেরা, অপারেসি পিন্টু, অপারেসি মাহির এবং অপারেসি পিকআপের মতো বিভিন্ন নামে অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটক করছে পুলিশ। ফলে মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া এত সুযোগ সত্ত্বেও দেশটিতে বর্তমানে থাকা প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নানা জটিলতায় মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে পারে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি। যার প্রভাব পড়তে পারে রেমিট্যান্সে।