অনলাইন ডেস্ক : তবে কী যুদ্ধ লাগলো বলে! সে ইঙ্গিতই পাওয়া গেলো ইউক্রেনে থাকা নাগরিকদের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনা থেকে। তিনি অতি দ্রুত সকল মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহবান জানিয়েছেন। যে কোনো সময় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন সবাইকে। এরইমধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে জরো হওয়া রুশ সেনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজারে। সীমান্তের আরেক দিকে বেলারুশ ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া চলছে। পশ্চিমা নেতারা বলছেন, রাশিয়ার প্রস্তুতি বলছে যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ হতে পারে। সেই আভাস থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্টও সকল নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছেন। জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে তাহলে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে না।

একইসঙ্গে যে কোনো সময় এই অঞ্চলে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, রাশিয়া এখনো যে কোনো হামলা পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে চলেছে। যদিও দেশটির প্রস্তুতি বলছে অন্য কথা। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মিত্র দেশ বেলারুশের সঙ্গে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনের পাশে থাকা কৃষ্ণ সাগরেও অবস্থান নিতে শুরু করেছে রুশ যুদ্ধ জাহাজগুলো। ইউক্রেন অভিযোগ করেছে যে, রাশিয়া তাদের জাহাজকে এ সাগরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের এখনই ইউক্রেন ত্যাগ করা উচিত। আমরা বিশ্বের সবথেকে বড় সেনাবাহিনীগুলোর একটির মোকাবেলা করছি। এটি খুবই আলাদা একটি পরিস্থিতি এবং যে কোনো সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এসময় বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয় যে, প্রয়োজনে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে সেনা পাঠাবে কিনা যুক্তরাষ্ট্র। উত্তরে তিনি বলেন, সেটি হবে না। যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একে অপরের দিকে গুলি ছুড়বে তখন সেটি বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হবে। আমরা এখন এমন একটি বিশ্বে বাস করছি যা আগে কখনো ছিলনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও রুশ হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনিও বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া এখন যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে। এই পরিস্থিতিকে তিনি সংকটের সবথেকে ভয়ানক পর্যায় বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ নিরাপত্তা সংকটে পরেছে ইউরোপ। নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তিনি। যদিও সাংবাদিকদের কাছে জনসন কিছুটা আশার বানীও শুনিয়েছেন। ব্রাসেলসে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি মনে করি যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি।