লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র : হঠাৎ ঝলসে ওঠার মতো ঘটনার জন্ম দিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ডোনা ইমাম। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে ৫৬ ভাগ (২০৮৮৪) ভোট পেয়ে টেক্সাসের কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩১ এর চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। অস্টিনের উইলিয়ামসন কাউন্টি এবং সেনা ছাউনি অধ্যুষিত ফোর্ট হুড নিয়ে গঠিত এ নির্বাচনী এলাকার ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষের ৫৯.১৯ ভাগ হলেন শ্বেতাঙ্গ। এশিয়ানের সংখ্যা মাত্র ৫.২ ভাগ। হিসপ্যানিক হচ্ছে ২৩.৯৩ ভাগ এবং কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা ১১.২৪ ভাগ। এই আসনে কখনোই ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হতে পারেননি। এবারই প্রথম বাঙালির রক্ত প্রবাহিত ডোনা রিপাবলিকানদের একটি ধাক্কা দিতে চাইছেন। এরই মধ্যে তিনি অভিবাসী সমাজে আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি মধ্যম আয়ের শ্বেতাঙ্গদেরও পাশে টানার চেষ্টা করেছেন। উল্লেখ্য, মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে মিশিগানের একটি আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন হেনসেন ক্লার্ক। তিনি দুই বছরের এক মেয়াদের বেশি টিকতে পারেননি ‘ভিলেজ পলিটিক্স’র কারণে। এ বছরের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে নিউইয়র্ক এবং জর্জিয়া থেকে দুই বাংলাদেশি অংশ নেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। তবে ডোনা ইমাম প্রাথমিক পর্ব অতিক্রম করেছেন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে।
টেক্সাসে জন্মগ্রহণকারী ইলেকট্রিক্যাল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্সধারী ডোনা নিজেই একটি ফার্ম দিয়েছেন। সেখানে কাজের পাশাপাশি মার্কিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। সাম্প্রতিক ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের আগে কঠোর পরিশ্রমী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। সবার জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং অভিবাসীদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ চিরতরে বন্ধ করার স্লোগানও দিচ্ছেন ডোনা। পিছিয়ে পড়া সমাজকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মকভাবে কাজের অঙ্গীকার করছেন ডোনা। এ অবস্থায় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক সহায়তা চেয়েছেন।
ডোনার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন জন কার্টার। আরও রয়েছেন লিবারেল পার্টির ক্লার্ক প্যাটারসন এবং স্বতন্ত্র জেরেমি ব্রেভো। একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে ভোটারের মধ্যে এরই মধ্যে আলাদা একটি জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন ডোনা। তাকে সমর্থন দিয়েছে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান ফর পলিটিক্যাল অ্যাকশন’ নামের একটি জোট। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনার বিজয়ে সবার আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছে এ সংগঠন। সংশোধনী : গতকালের বাংলাদেশ প্রতিদিনের শেষ পাতায় ‘ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থিতা বাছাইয়ে বিজয়ী হলেন বাঙালি নারী রাশিদা’ শীর্ষক সংবাদে ভুলবশত রাশিদা তাইয়্যেবকে বাঙালি নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রকৃত অর্থে তিনি ফিলিস্তিনি। তবে বাঙালিদের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু।