অনলাইন ডেস্ক : জানা গেছে, একটি ট্যুরিস্ট প্লেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে একটি মাইক্রোলাইট প্লেনের। ওই মাইক্রোলাইট প্লেনটিতে ছিলেন ২ জন। আর ট্যুরিস্ট প্লেনে ছিলেন ৩ জন যাত্রী। দুটি প্লেনের কোনোটিতেই বেশি যাত্রী না থাকায় আরো বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, মাইক্রোলাইট বিমানে বেশি যাত্রী থাকেন না। এক্ষেত্রেও তাই ছিল। ওই বিমানে ছিলেন ২ জন। আর ডিএ ৪০ নামের যে ট্যুরিস্ট প্লেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেখানেও বেশি যাত্রী ছিলেন না।
নাদিয়া সেঘিয়ার নামে ফান্সের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ লচেসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমান দু’টি।
মাঝ আকাশে সংঘর্ষের পর আছড়ে পড়ে দু’টি প্লেন। আগুন ধরে গিয়েছিল দুই বিমানেই। ৫০টি দমকল মেশিনের সাহায্যে আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনেরই।
কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ভেঙে পড়েছিল মাইক্রোলাইট প্লেনটি। অন্যদিকে ট্যুরিস্ট প্লেনটিও আবাসিক এলাকা থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে ভেঙে পড়ে। এই দুই বিমান ভেঙে পড়ায় স্থানীয়ভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এলাকা পরিষ্কারের জন্য ৩০টি মেশিন আনা হয়েছিল।
কিন্তু মাঝ আকাশে কীভাবে দুটি প্লেন মুখোমুখি চলে এল এবং সংঘর্ষ হল তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। নিহতদের নাম পরিচয়ও জানা যায়নি।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লচেস পুলিশ। দুর্ঘটনার পর এয়ার ইমার্জেন্সি স্টাফের সাহায্যেই প্লেন দুটির নির্দিষ্ট লোকেশন জানা সম্ভব হয়েছিল। তারপর শুরু হয় আগুন নেভানো এবং উদ্ধার কাজ। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
সূত্র : দ্য ওয়াল