অনলাইন ডেস্ক : বিল বকেয়া থাকায় হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিলো অভিনেত্রী মিনু মমতাজের মরদেহ। অবশেষে হাসপাতালের বকেয়া বিলের একাংশ পরিশোধ করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেছে অভিনয়শিল্পী সংঘ।
বুধবার সেই মরদেহ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে বলে জানালেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।
মঙ্গলবার রাতে ‘মর্গে পড়ে আছে অভিনেত্রীর লাশ, খোঁজ নিচ্ছেন না সন্তানরাও’ এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয় । এছাড়াও অন্যান্য গণমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনু মমতাজের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে বিল বাবদ বকেয়া হয় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতো টাকা পরিশোধ করে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ তার মরদেহ গ্রহণ করতে আসেনি।
এ খবর পাওয়া মাত্রই অভিনয়শিল্পী সংঘের দায়িত্বশীল নেতারা ছুটে যান হাসপাতালে। বুধবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিনয়শিল্পী সংঘ মিনু মমতাজের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করারও ব্যবস্থা করেন।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিমসহ সংগঠনের অনেকেই উপস্থিতি ছিলেন। নাসিম বলেন, মিনু মমতাজকে অনেক আগে থেকেই অভিনয় শিল্পী সংঘ সাহায্য করে আসছিলে। কদিন আগে কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন ওই হাসপাতালে। সেখানেই করোনা টেস্টে ফলাফল পজেটিভ আসে। অনেক টাকায় বিল আসায় তার পরিবার যোগাযোগ করছিলো না। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিলের একটা অংশ অভিনয়শিল্পী সংঘ দিয়েছে। আর বাকিটা মওকুফের ব্যবস্থা করেছি । ডেথ সার্টিফিকেটসহ মরদেহ ছেলে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে তাকে দাফনের ব্যবস্থা করেছি আমরা।’
নাসিম আরও জানান, মিনু মমতাজের তিন ছেলে। এরমধ্যে এক ছেলে মারা গেছেন। আরেক ছেলে অসুস্থ। এক ছেলে আমেরিকায় বসবাস করেন। তিনি আপাতত দেশে ফিরতে পারছেন না। আর বড় ছেলে আমানউল্লাহ ঢাকায় থাকলেও মায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালে যেতে পারেননি কারণ তিনি অসুস্থ।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন মিনু মমতাজ। কয়েক বছর ধরেই ডায়বেটিস ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে নাটকের শুটিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন তাকে আইসিইউতেও রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।