বিনোদন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার (৭ জানুয়ারি)। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হয়েই বাজিমাত করলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। তবে বিনোদন জগতের তারকাদের নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে হারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এছাড়া হেরে গিয়েছেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম।
নীলফামারী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে পঞ্চমবারের মতো এমপি হলেন গুণী অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এর আগে টানা চারবার সংসদ সদস্য হিসেবে এই আসনে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী। নীলফামারী-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১। তার মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট।
ঢাকা-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন ঢালিউড নায়ক ফেরদৌস। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৩। এর মধ্য থেকে ৬৫ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে অভিনেতা থেকে ‘নেতা’ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমা এই নায়ক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী (আম) শামসুল আলম পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
প্রচার-প্রচারণায় চমক দেখালেও প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে গেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। রাজশাহী-১ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (ট্রাক) নির্বাচন করেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৯। মাহি পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী।
মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে চতুর্থবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন মমতাজ বেগম। এর আগে তিনবার জিতলেও এবার জয়ের মুখ দেখেননি এই কণ্ঠশিল্পী। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯। এর মধ্যে ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েছিলেন মমতাজ। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট পেলে প্রথমবারের মতো ভোটের মাঠে হার মানতে হয় এই শিল্পীকে।
পাবনা-২ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরের কাছে হেরেছেন ডলি সায়ন্তনী। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ ভোট। যদিও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) এই প্রার্থী। ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন তিনি।
বরিশাল-২ থেকে শিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস নির্বাচনে অংশ নিলেও এ অঞ্চলের মানুষ নির্বাচিত করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া মেনন ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু (ঈগল প্রতীক) পেয়েছেন ৩২ হাজার ১৯ ভোট।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাকগাড়ি) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট। এখানে জেতার কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি ‘মিরাক্কেল’ তারকা কমর উদ্দিন আরমান। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, আমার এলাকায় এখন পর্যন্ত যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারা অনেক সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তাদের প্রতি সম্মান রেখে আমার জনপ্রিয়তা যাচাই করতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন ফরম নিয়েছি।