বাহারুল হক
ভাস্কোর এমডি মাথা ভরা বুদ্ধি
‘ক্ষিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে’।
‘মোটা তাজা হবে নাকো
শরীরটা ভালো রাখো’
এই হলো ‘মটো’ ভাই এমডির।
এমডি আজ আছে ঢাকাতে
কাল পাবে হামবুর্গ, পরশু যে মাদ্রিদ,
দিন দুই রেস্ট নেবে তারপর ছুটে যাবে আছে মিটিং বেলগ্রেড।
পৃথিবীটা গোল বলে সুর্যটা ডুবে নারে
দিন রাত বুঝে নাতো এমডি
সারাক্ষণ ছুটে চলে
মিটিং আছে কথা বলে
রাত আর দিন কি!
মাঝে মাঝে টেলিফোনে হয় কিছু কথা
প্রথমেই বলি আমি – তা তুমি আজ কোথা?
এমডি হেসে বলে- আমি ভাই ঢাকাতে,
আমি বলি চলে এসো টরন্টো, এক সাথে খাবো যে।
এমডি হেসে বলে- কাল যাবো সিংগাপুর
পরদিন যেতে হবে বহুদুর অসলো আর বার্গেন
তারপরও থামা কৈ
যেতে হবে প্যারিস হয়ে লন্ডন।
এমডির এক মেয়ে এক ছেলে অপর্ণা আর অনিন্ধ
মাশাল্লাহ চেহারা আর মেধাতে দুই জনই ঋদ্ধ।
এমডির স্ত্রীও ‘মস্ত অফিসার’
কত হলো এয়ারপোর্টে
একজনের ‘এরাইভ্যাল’ অন্যজনের ‘ডিপার্চার’।
ধর্মের ঢালটা টেনে ধরে এমডি
জন্মিলে মরতে হবে আনতে হবে শুদ্ধি।
ছুটে গেল মক্কা হজ্ব করে মদিনা
মাঝে মাঝে বলে – ভাই, বহু কাজ, বাঁচি না।
শুনে আমি বললাম-
আয়, আমার পথ ধর,
কেন এত কাজ আর
আমার মত নেয় এবার স্বেচ্ছা অবসর।