অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সোমবার (২৯ জুন) ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানান, ময়ূর–২ নামের একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন জানান, ধাক্কা দেয়া লঞ্চ ময়ূর–২ জব্দ করা হয়েছে। তবে লঞ্চের চালক পালিয়ে গেছেন।
আরো পড়ুন: দেড়লাখ টাকা করে পাবে নিহতদের পরিবার
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জামাল জানান, উদ্ধার করা লাশের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন। নারী ৮ জন ও শিশু ৪টি।
বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। তবে, এটি আসতে আরো কিছু সময় লাগবে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যা নাগাদ ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।