রুমা বসু
চৌদ্দই ডিসেম্বরের সে ভয়াল রাত,
পঞ্চাশ বছর পরও গায়ে কাটা দেয়।
পাকিস্তানিরা বাংলাকে করে দিতে কাত,
বুদ্ধিজীবীদের উপর খর্গ তুলে নেয়।
বাঙালির বিজয়ের আগের মূহূর্তে,
রাজাকার আলবদর আল শামসকে,
সাথে নিয়ে পাকিস্তানী নর পিশাচেতে,
মেরেছিল আমাদের বুদ্ধিজীবিদেরকে।
শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, কবি
প্রকৌশলী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের
কেউ ছাড় পায়নি, বাংলা ছিল যার দাবি,
নোংরা হত্যাযজ্ঞ থেকে পাকিস্তানীদের।
স্বাধীনতার আগমন নিশ্চিত জেনে
স্বাধীন বাংলাদেশকে করতে মেধাশূন্য
সেই ক্ষণে পাক মরণ কামর হানে
বুদ্ধিজীবী হত্যা করে পাকিস্তানী বন্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশে সেই যে ছিল এক মহান বীর যোদ্ধা,
সারা বিশ্ব এখনও যাকে করে যে অপার শ্রদ্ধা।
যার স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিলো আপামর জনগণ
তার বজ্র কন্ঠে কেঁপে উঠেছিল পাকিদের গগন।
যার নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান
তার ভালোবাসা এ’দেশের জন্য ছিল এক আসমান।
যার অবদান সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ সৃষ্টিতে
সে হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জনগণের দৃষ্টিতে।
যার কল্যাণে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই পেল
তাকেই নেমকহারাম কিছু পাষণ্ড খুন করে গেল।
জাতীর জনকে হত্যার সেই ভয়াল ১৫ই আগস্টে
ঘরে ঘরে বাঙালি ভেঙ্গে পড়ে একেবারে পিতৃহারা কষ্টে।
পচাত্তরের ১৫ই আগস্টের সেই ভয়াল রাতের স্মরণে
আজও শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলার গগনে।
বাঙালি জাতির আকাশের সেই উজ্জ্বল রবি
নির্বোধ কিছু ক্ষমতালোভী বানিয়ে দিল ছবি।
একটা সময় ক্ষমতালোভী কিছু অসৎ লোকে
মুছে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির ঘর থেকে।
ইতিহাসে তখন ছিল না কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম,
নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধকে ফেলে যত ঘাম।
রাজাকার আর আলবদদের করে নিজেদের সাথী
মুছে দিয়েছিল বাংলার গৌরব, পাতকেরা রাতারাতি।
খুন করেছিল সপরিবারে জাতির জনকে
মুছতে পারেনি বাঙালির মন থেকে বঙ্গবন্ধুকে।
যুগ শ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তান শেখ মুজিবর রহমান
বাঙালি হৃদয়ে চিরকাল অমলিন থাকবে তার অবদান।
অটোয়া, কানাডা