অনলাইন ডেস্ক : সাধারণত বরের সঙ্গে বিয়েতে কারা যাবেন বা সঙ্গী হবেন তা আগে থেকেই ঠিক করা হয়। পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়েই বরযাত্রীর এই বহরের রীতি বেশ পুরোনো। সেই রীতি অনুযায়ী, বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু বন্ধুরা সময় মতো হাজির না হওয়ায় তাদের রেখেই কনের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন বর ও তার স্বজনরা।
আর এতেই চরম অপমানিত হয়েছেন দাবি করে বন্ধুরা বরের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। আর অদ্ভূত এই কাণ্ড ঘটেছে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারের বাহাদুরাবাদ এলাকায়।
ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরিদ্বরের বাহাদুরাবাদ এলাকায় এক বর বিয়েতে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধুরা আমন্ত্রণ পত্রে উল্লিখিত সময়ে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন। পরে তাদের রেখেই বরযাত্রীর বহর কনের বাড়িতে চলে যায়। বন্ধুরা বরের বাড়িতে যতক্ষণে পৌঁছান, ততক্ষণে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন মহাসমারোহে চলছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্ধুরা মনে করেছেন এটি তাদের মানসম্মানের ওপর আক্রমণ। এখন বরের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার মানহানি মামলা করেছেন তারা।
ইন্ডিয়া টাইমস বলছে, আলোচিত এই বরের নাম রবি। এক বন্ধুকে তার পক্ষে বিয়ের কার্ড বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর এতে রাজি হয়েছিলেন বন্ধু চন্দ্রশেখর এবং বিয়ের কার্ড বিতরণে রবিকে সহায়তাও করেন তিনি। বিয়ের কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছিল, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় বরযাত্রীর বহর কনের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হবে। চন্দ্রশেখর এবং রবির বাকি বন্ধুরা বরের বাড়িতে পৌঁছে জানতে পান, বরযাত্রীর বহর ইতোমধ্যে কনের বাড়িতে চলে গেছে।
পরে চন্দ্রশেখর কেন এই ঘটনা ঘটল তা বর রবির কাছে জানতে চান। জবাবে দেরিতে পৌঁছানোয় চন্দ্রশেখর এবং অন্য বন্ধুদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেতে বলেন রবি।
এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি চন্দ্রশেখর। পরে তিনি একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করেন। চন্দ্রশেখর বলেন, বর রবির পক্ষে তিনি যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে মানসিক হেনস্তার শিকারও হয়েছেন তিনি। এখন তিনি বরের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার ভারতীয় রুপির মানহানি মামলা করেছেন।
একই সঙ্গে আগামী তিন দিনের মধ্যে বরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।