ডঃ বাহারুল হক : জারিফের বিবাহ সংশ্লিষ্ট পরবর্তি অনুষ্ঠান গায়েহলুদ। এটা একটি বড় অনুষ্ঠান। এখানে বলে রাখি বরের পিত্রালয় ক্যানবেরায়। গায়েহলুদের জন্য ভেনু সিলেক্ট করা হয়েছে সিডনিতে। ক্যাসেল হিলে অবস্থিত পায়োনিয়ার থিয়েটারে। গায়েহলুদের জন্য দিন নির্ধারন করা হয়েছে ১৪ জানুয়ারি; গায়েহলুদ অনুষ্ঠান নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে অনেক কাজ করতে হয়। স্বপন তাই সিডনিতে দুই রাত থাকার সিদ্ধান্ত নিল এবং ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এই দুই দিন এবং রাত সিডনি থাকার জন্য সিডনিতে একটা বাসা ভাড়া করলো। গায়েহলুদের দিন বরের পক্ষ থেকে এক জোড়া বড় আকৃতির মাছকে বর কনে সাজিয়ে কনের পিত্রালয়ে পাঠানো হয়।

এটাই চলতি রেওয়াজ। তামান্না- স্বপন চায়না তারা অস্ট্রেলিয়া আছে বলে এই রেওয়াজের কোন রকম ব্যত্যয় ঘটুক। তারা, বরের মা-বাবা, এই মাছ প্রদানের আনন্দটুকু গভীরভাবে অনুভব করতে চায়। তাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে নেমে গেল। প্রথমে বাজার থেকে দুটো বড় বড় স্যামন মাছ আনা হলো। মাছ দুইটির একটিকে বর ও অন্যটিকে কনে রুপে সাজানো হলো। ঢাকা থেকে আনা গামছা কেটে লুংগি ও শাড়ি বানানো হলো এবং সে শাড়ি লুংগি বর মাছ আর কনে মাছকে পরানো হলো। কনে মাছের কানে সোনালী দুল পরানো হলো। বরের মামী স্নিগ্ধা অত্যান্ত যতন করে মাছ দুই টিকে রুপবান বর আর রুপবতী কনে বানিয়ে ফেললো। সব শেষে মাছের মুখে ডলার পুরে মাছ বর আর মাছ কনে নিয়ে বরের বাবা রওয়ানা হলো কনের বাড়ির দিকে। মাছ কনের বাড়িতে পৌঁছে গেল। তামান্না -স্বপনের স্বপ্ন সকাল বেলায় পুর্ণ হয়ে গেল। গায়েহলুদ অনুষ্ঠানটি কনে এবং বর উভয় পক্ষের যৌথ অংশগ্রহণে সম্পন্ন হবে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সঁন্ধা- দিন যখন রাতের হাতে সময়কে তুলে দিবে তখন। পায়োনিয়ার থিয়েটার একটি উন্নত মানের বহুমুখী “ফ্ল্যাট ফ্লোর” “ব্ল্যাক বক্স” স্টাইল থিয়েটার যাতে রয়েছে তিন শত পঞ্চাশটি আসন এবং প্রত্যাহারযোগ্য একশত আশিটি আসনসহ একটি বড় পারফরমেন্স স্পেস। পারফরমেন্স স্পেস লাগোয়া মেঝেতেও আরামদায়কভাবে বসা যায়। আজ ১৪ জানুয়ারী শনিবার। সঁন্ধার দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে বিকেল। অতিথি সমাগমে পায়োনিয়ার থিয়েটার সরগরম। পায়োনিয়ার থিয়েটারে প্রবেশ করে দুই পক্ষের লোকজন দেখে ভারি আনন্দ অনুভব করলাম। দুই পক্ষের পুরুষ আর মহিলাদের পরনে বিশেষ পোশাক। সব পুরুষের পরনে পায়জামা পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির উপর আছে কটি। এই কটি আবার নানা রঙের। বরের কটির রঙের সাথে আর কারো কটির রঙ মিলবে না। বরের পিতার গায়ে যে কটি তার রঙও আলাদা। সে কটির রঙের সাথে আর কারো কটির রঙ মিলে না। আমি-তুমি-সে-আমরা যারা আছি স্বপনের ভাই সম্পর্কের আত্মীয়, স্বপ্নের জামাতা, বাবুর স্বশুর আমাদের সবার কটি এক আলাদা রঙের, বর এবং বরের পিতার রঙ থেকে পৃথক। গায়ের কটির বেলায় কনে পক্ষের পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই রকম শ্রেণী বিন্যাস দেখা গেছে। বর পক্ষের সবার গায়ের কটি ছিল বরের পিতার পক্ষ থেকে গায়েহলুদ উপলক্ষে প্রীতি উপহার। কনে পক্ষের সবার গায়ের কটি নিশ্চয় কনের পিতার পক্ষ থেকে উপহার।

অতিথিরা এসেছেন বাংলাদেশ, আমেরিকা ও কানাডা থেকে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণ নিবাসী জারিফের বোন আর দুই ফুফুও এসেছেন সপরিবারে। আমি ছাড়া আর সবাই ১৩ জানুয়ারী বরের শহর ক্যানবেরায় এসে হাজির হয়েছেন। আমি ছিলাম সিডনি আমার স্ত্রীর বোনের বাসায়। ১৪ তারিখ শনিবার বিকালে একে একে সবাই হাজির পায়োনিয়ার থিয়েটারে। কনে নিয়ে কনে পক্ষ এবং বর নিয়ে বর পক্ষ সবার আগে হাজির হলো। অতিথি সমাগমে পায়োনিয়ার থিয়েটার সরগরম। মূল কক্ষে টেবিলের উপর রাখা আছে বৈকালিক চা নাস্তা। অতিথিরা পছন্দমত আইটেম নিয়ে খাচ্ছেন। প্রায় সকলে দাঁড়িয়ে হেঁটে কথা বলছেন, কুশল বিনিময় করছেন।

এর মধ্যে কেউ কেউ আছরের নামায ও সেরে নিচ্ছেন। আগেই বলেছি থিয়েটার কমপ্লেক্সে মুল কক্ষের পাশে অতিরিক্ত কয়েকটা কক্ষ আছে। সে গুলোর একটি আমাদের অতিথিরা নামায পড়ার জন্য ব্যাবহার করছেন। থিয়েটারে মুল কক্ষ আর অতিরিক্ত কক্ষের মধ্যখানে রাখা আছে অত্যান্ত সুসজ্জিত নতুন একটা রিকসা। অতিথিদের অনেকেই রিকসার দাঁড়িয়ে কেউ কেউ রিকসায় বসে ছবি তুলেছে। এক ফাঁকে বর এলো কনেকে নিয়ে। তারা রিকসা নিয়ে ছবি তুললো। এভাবে সময় গড়িয়ে সঁন্ধা হয়ে গেল। বিপুল সংখ্যক অতিথি খালি একটা কক্ষে জামাতে মাগরিবের নামায পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে গেল। একজন ইমামতি করলেন। খুব সুন্দরভাবে নামায পড়া হয়ে গেল। এবার অনুষ্ঠান স্থল হঠাৎ কানায় কানায় ভরে উঠলো। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বর আর কনের মুল কক্ষে প্রবেশের সময়। বর তার সাথিদের নিয়ে প্রথমে প্রবেশ করলো। হাসি মুখে অনিন্দ সুন্দর বর সবার সামনে। হল ভর্তি সকলের উল্লাস ধ্বনিতে হল প্রকম্পিত হচ্ছে। গান তো বাজছেই। বর সবার সামনে স্টেজের বিপরীতে তার আসন গ্রহন করলো। বরের পাশেই আসন সংরক্ষিত আছে কনের জন্য। এবার কনের প্রবেশ। কনে প্রবেশ করছে। একটা বড় চাঁদোয়া টান টান করে কনের মাথার উপর ধরে রেখেছে কনের সাথিরা। সঙ্গীতের দ্যোতনায় উপস্থিত সকলের আনন্দ ধ্বনিতে হল আবার প্রকম্পিত হলো। অপরুপ সাজে সাজানো কনে তার চিরল দাঁতের প্রানকাড়া হাসি মুখে ধরে এক অব্যাক্ত আনন্দ চিত্তে সবার সামনে দিয়ে থেকে ধীর গতিতে হেঁটে হেঁটে হলে প্রবেশ করলো এবং বরের পাশে তার জন্য সংরক্ষিত আসনে বসে পড়লো। রাতের গরম গরম সুস্বাদু খাবার টেবিলে রাখা ছিল। বর কনে উভয় পক্ষের সকলে সে খাবার গ্রহন করতে শুরু করলো। নামায পড়া শেষ হলে আমি হঠাৎ খুব কাতর অনুভব করলাম এবং মুল কক্ষের দিকে আর পা না বাড়ায়ে যে কক্ষে নামায পড়েছি সে কক্ষে একটা পিলারের সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে পড়লাম। আমি যেহেতু অসুস্থ সবার নজর আমার দিকে। আমার কাছে আসছে, আমার শরীরের অবস্থা খোঁজ খবর নিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর যখন একটু ভালো লাগতে শুরু করলো তখন মূল কক্ষের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। আমি একা নই। অনেকেই আমার সাথে আছে। মূল কক্ষের দরজার কাছা কাছি গেলে স্বপন ছুটে এল এবং বললো- আমিতো আপনার অপেক্ষায়, খাবেন না? সবার খাওয়া-দাওয়াতো প্রায় শেষ। আমি বললাম- আমি এখন খাবার এনে খাবো সে অবস্থায় অমি নাই। সে বললো- কোন চিন্তা নাই। আপনাকে যেতে হবে না, আপনি এখানে এই চেয়ারে বসেন। এই বলে সে চলে গেল। একটু পর সে খাবার ভর্তি একটা প্লেট নিয়ে এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। আমি বললাম- আমিতো এই প্লেট হাতে রেখে খেতে পারবো না। স্বপন বললো- অমি প্লেট নিয়ে দাঁড়ায়ে থাকবো, আপনি খান। আমারত স্পাজম চলছে ফলে চিবিয়ে খেতেও ইচ্ছা হচ্ছে না। স্বপন তাগিদ দিলো, না, খেতে শুরু করেন। খাওযার পরে হয়তো থাকবে না। তাছাড়া আপনিতো ক্ষুধার্থ। আমি এটা সেটা মুখে দিচ্ছি, চিবোচ্ছি, কোন রকমে গিলছি। স্বপন প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে। খেতে অরুচি দেখে সে বললো, বসেন, বোরহানি আনতে ভুলে গেছি। বোরহানি আনতেছি। বোরহানি সহ খান ভালো লাগবে। এই বলে সে আবার গেল এবং বোরহানি নিয়ে ফিরলো। বোরহানি দিয়ে আর একটু খেলাম। বোরহানিটা খুব চমৎকার হয়েছে। স্বপন চলে গেল। আমি স্বপনকে দেখছি। সে বরের পিতা। এখানে সর্বাধিক ব্যাস্ত ব্যাক্তিটি নিঃসন্দেহে স্বপন। অথচ সব উপেক্ষা করে কিভাবে আমার জন্য সময় ব্যায় করলো! কি পরম দরদ ভরে সে আমাকে খাওয়ালো: বসালো, খাবার আনলো, খাবারের প্লেট নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলো, আমি কেমন করে খাচ্ছি তা নিরীক্ষণ করলো, খেতে পারছিনা দেখে আবার গেল, বোরহানি আনলো। আমি তার বড় ভাই। যে সন্মান ও ভালোবাসা সে আমার প্রতি দেখিয়েছে তার কোন তুলনা নাই। স্বপন আমাকে যা দিয়েছে তা এক কথায় আমার কাছে ছিল আশাতীত। গায়েহলুদ আনুষ্ঠানে আগত সকলের জন্য রাতের খাবার হিসেবে কাচ্চি বিরিয়ানির ব্যাবস্থা করেছে তামান্না, বরের মাতা। তিনি বাঙালি এক স্বনামধন্য ক্যাটারারকে কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরি করে সরবরাহ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে ছিল আরো অনেক সুস্বাদু আইটেম যে গুলো অতিথিদের রসনা মেটাতে পেরেছে খুব ভালোভাবে। খাবার বিষয়ে সবার মন্তব্য ছিল পুর্ণ ইতিবাচক। খাওয়া দাওয়া শেষ। আমার স্পাজমও শেষ হয়েছে। আমি এবার উঠে নিজে গেলাম খাবার খুঁজতে। হতাশ হলাম। দেখি মেইন ডিশের কিছুই নাই। টিক্কা খুঁজলাম। নাই। আছে শুধু নান রকম মিস্টি। তাতো থাকবে। আজকালতো সবাই আবার স্বাস্থ সচেতন। বেশি মিস্টি খেয়ে কে যাবে সুগার বাড়াতে!। একটা কথা যা আগেও শুনেছি অনেকÑ “খাবার অত্যান্ত সুস্বাদু হলে খাবারে টান পড়ে, অপরদিকে খাবার সুস্বাদু না হলে লোকে বাঁকা গান ধরে”। বর পক্ষের সরবরাহকৃত কাচ্চি বিরিয়ানির মৌ মৌ গন্ধে আর সকলের মুখে তার সুনামের ছন্দে পায়োনিয়ার থিয়েটার একেবারে পয়মন্ত হয়ে গেছে। এদিকে নাচ শুরু হয়ে গেছে। যেই ধরনের খাবার খাওয়া হয়েছে তাতে না নেচে উপায় আছে! গান বাজছে আর গানের তালে তালে নাচছে পুরো হল। নাচ সংক্রামক ব্যাধির মত। নাচের ভাব লোক থেকে লোকের মধ্যে সংক্রমিত হয়। নাচ দেখলে নিজের ও নাচিতে ইচ্ছা করে। অনুষ্ঠানে তাই হয়েছে। মেয়েরা নাচলো, ছেলেরা নাচলো। এবার বরের ভগ্নি আর জামাতা গেল নাচতে। হঠাৎ বরের মা বাবাকে চিল যেমন মুরগীর বাচ্চা চোঁ মেরে নিয়ে যায় তেমনি চোঁ টান মেরে জামাতা তার শাশুড়িকে আর মেয়ে বাবা কে চোঁ মেরে নিয়ে গেল। ব্যাস, শুরু হয়ে গেল চার জনের নৃত্য- জামাতা -শাশুড়ি এক দিকে আরেক দিকে পিতা কণ্যা। এ নৃত্য ছিল দেখার মত। শ্বাশুড়িকে মনে হলো স্বনামখ্যাত নৃত্যশিল্পী বিজরী বরকতউল্লাহ আর পিতা হয়ে গেলেন শাহরুখ খান। তাদের নৃত্য দেখে উপস্থিত সকলে আনন্দ ধ্বনি দিয়ে পায়োনিয়ার থিয়েটারকে প্রকম্পিত করে ফেললো।

এবার শুরু হলো মুল পর্ব- গায়েহলুদ। গায়ে হলুদ দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে “গায়েহলুদ অনুষ্ঠান”; কর্মধারয় সমাসের একটি উত্তম উদাহরন। কনে আর বর ধীর গতিতে স্টেজে উঠে বসে গেল তাদের জন্য নির্দিস্ট চেয়ারে। বর কনের দুই পাশে অতিথিদের বসার ও ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। অতিথিরা একে একে এসে বর বা কণ্যার পাশে বসছেন এবং তাদের গায়ে হলুদ লাগাচ্ছেন। এ সময় গান ও বাজছে অনেকটা চলচ্চিত্রের আবহ সঙ্গীতের মত। তবে কখনো সানাইয়ের কোন শব্দ শুনলাম না। এখানেও হাসি আনন্দের কোন ঘাটতি ছিল না। বর কনে উভয় পক্ষের সবাই বায়স্কোপ দেখার মত করে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন, উপভোগ্য করে রাখতে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছেন। এত বড় আর এমন জাঁক জমক পুর্ণভাবে আয়োজিত কোন গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যোগদান আমার এই প্রথম। ফলে আমার আনন্দ ছিল এক কথায় অপরিমেয়। এভাবে অনুষ্ঠান শেষ করার সময় হয়ে গেল। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে যার যার গন্তব্যে পৌঁছার।

অনেকেই রাতেই ফিরে যাবেন ক্যানবেরা। তাদের পায়োনিয়ার থিয়েটার ছাড়ার তাগাদাটা একটু বেশি। এদিকে আমি আর আমার স্ত্রী কিভাবে ব্যাংকস টাউন ফিরবো ভাবতেছিলাম। স্বপনকে বললে সে সাথে সাথে বললো আপনাদের ফিরার ব্যাবস্থা আমি করে রেখেছি। নুহিন ফিরছে ক্যানবেরা। সে আপনাদের নিয়ে শিগ্রই বের হবে। সে আপনাদেরকে ব্যাংকস টাউন নামিয়ে দেবে। আমরা বের হয়ে গেলাম। রাত ১১টায় পায়োনিয়ার থিয়েটার ক্লোজ করবে। বর কনের পিতা মাতা সবার শেষে বের হবেন। থিয়েটার পরিস্কার করা হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হবার পর তারা থিয়েটার স্থল ত্যাগ করবে। অবশ্য এতে স্বপন তামান্নার কোন অসুবিধা হবে না। তারা রাতে সিডনি থেকে যাবে। ১৫ তারিখ সকালে তারা ক্যানবেরায় তাদের নিজ গৃহে ফিরে যাবে। নুহিন আমাদেরকে ব্যাংকস টাউনে আমার শালীর বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেল ক্যানবেরায় তার নিজের বাড়িতে। (চলবে)