সোনা কান্তি বড়ুয়া : ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে জয় বাংলার বিজয় দিবস। জয় বাংলায় জয় / বঙ্গবন্ধুর জয় / যিনি মহাকাল করেছেন জয়। বার বার অনেক বারের পর বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের আলোকে প্রমান করে দিলেন যে – বাঙালি বীরের জাতি এবং বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা “আমরা যখন মরতে শিখেছি, কেউ আমাদের মারতে পারবে না।” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এমন শিক্ষা জগতে বড়ই দুর্লভ। আমরা কি মানুষ না আমাদেরকে ধর্মের নামে অধর্মের ভ‚তে পেয়েছে। বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি বা শত্রু সম্পত্তির অর্থ কি?
মানুষ জাতি বা আশরাফুল মাকলুকাত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে শয়তানের গোলাম হয়ে পাকিস্তান ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে ইসলাম ধর্ম অপব্যবহার করে ইসলামের নামে আল্লাহের আমানত শিশু, নারী এবং ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা, করেছে! দিনের পর দিন। ২ লক্ষ মা – বোনকে ধর্ষন এবং বুদ্বিজীবি হত্যা করেছিল। সুতরাং এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠা করতে অবৈধভাবে ধর্মান্ধ ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে চাপিয়ে দেয়া। হযরত মোহাম্মদ (সা:) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার উপদেশ দিয়েছেন। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। ধর্মের নামে নর নারী হত্যা কোন ধর্মেরই পবিত্র বাণী নয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “দেশের লোককে শিশুকাল হইতে মানুষ করিবার সদুপায় যদি নিজে না করি তবে আমরা সর্বপ্রকারে বিনাশপ্রাপ্ত হইব,অন্নে মরিব,স্বাস্থ্যে মরিব, বুদ্ধিতে মরিব,চরিত্রে মরিব-ইহা নিশ্চয়। স্বার্থ আমাদের যে-সব প্রয়াসের দিকে ঠেলে নিয়ে যায় তার মূল প্রেরণা দেখি জীবপ্রকৃতিতে; যা আমাদের ত্যাগের দিকে, তপস্যার দিকে নিয়ে যায় তাকেই বলি মনুষ্যত্ব, মানুষের ধর্ম।” (মানুষের ধর্ম)! “মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে। আর-একদিন অপরাজিত মানুষ নিজের জয়যাত্রার অভিযানে সকল বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হবে তার মহৎ মর্যাদা ফিরে পাবার পথে।” ( সভ্যতার সংকট )!
ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে ২০১৯ সালে ভেদ, বিসম্বাদ পূর্ণ, হিংসায় ভরপুর ও পঙ্কিল চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে “অমুসলিমরা’ মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম! ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে!
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ যখন প্রতিদিন দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হওয়ার লড়াই থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রাণপাত করছে, তখন নির্বাচন পরিচালনায় প্রয়োজনের অজুহাতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের গাড়ি কিনে দেওয়াটা ‘বেহেশতি’ সওগাত তো বটেই! এমন আরও অনেক দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়, যেখানে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে, অসুবিধায় রেখে গুটিকয় ব্যক্তিকে আইনি-বেআইনি সুবিধা দেওয়া হয়েছে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য।
বাংলাদেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য এখন ভয়ানক অবস্থায় চলে গেছে। শুধু অর্থনৈতিক দারিদ্র্য নয়; শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, সামর্থ্যের বঞ্চনা– সব মিলিয়ে সমাজের মধ্যবিত্ত থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আজ দিশেহারা। বলতেই হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করা একটি দেশ, যার আদর্শের ভিত্তিই ছিল সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার আর সব মানুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখা; সেই দেশের কিছু মানুষকে সাধারণ জনগণের শ্রম সস্তায় বিক্রি করে, তাদের কষ্টের অর্জিত সম্পদ অবাধে লুট করতে দিয়ে, অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ‘বেহেশত’-এ রাখার জন্য সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দাবিদার রাজনীতিকদের ক্ষমতায় দেখতে চায়নি। তাদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল ভিন্ন।
সামনে নির্বাচন। একবার কি তারা তাদের আচরণ ও কথায় অন্যেরা কে কী করেছে বা করে, এই আচ্ছন্নতা থেকে বেরিয়ে আসবেন? তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস না করে, নিজেদেরই ঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অবিচল থেকে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি দেশ গঠনে নিয়োজিত হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রত্যয়ের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন না?
মন্ত্রীরা কেউ কেউ বেশ খোলামেলাই বলছেন, তাদের পক্ষে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তারপরও ওই পদে অধিষ্ঠিত থাকা তাদের খুবই জরুরি। একজন মন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ‘আপনারা তো বেহেশতে আছেন।’ কিছু মানুষের জন্য তো এটি সত্যই। ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের করের পয়সায় দৈনন্দিন জীবন থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাভোগী জীবন যাপন করতে পারলে বেহেশতে থাকার স্বাদ তো পাওয়া যেতেই পারে। জনগণের জমা করা টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে দেওয়ার পরও সরকার তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে না চাইলে বা না পারলে তারা তো বেহেশতের সুখ পেতেই পারেন।
রাষ্ট্র আর ধর্ম দুটো আলাদা জিনিষ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের জন্য? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সামাজিক ন্যায়বিচারে ইসলাম ধর্ম – ধর্ম – / বৌদ্ধধর্ম, হিন্দুধর্ম, খৃষ্ঠানধর্ম কি ধর্ম নয়? বাংলাদেশের মুসলমান ধর্ম অবমাননা কি শুধু হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠানদের বেলায়? বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দুধর্ম খৃষ্ঠান ধর্ম কি ধর্ম কি ধর্ম নয়? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠানদের জন্য সমান সুযোগ! বাংলাদেশের স্বাধীনতায় হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান পাহাড়ীদের ধর্মীয় নিপীড়ন কেন? আমার এই ঘর ভাঙিয়াছে যেবা / আমি বাঁধি তার ঘর। / আপন করিতে গুরিয়ে বেড়াই,/ যে মোরে করেছে পর। (কবি জসীম উদ্দীনের লেখা)!
নির্লজ্জ ধর্মের ছদ্মবেশে জনগণকে গোলাম বানাতে ধর্মান্ধ রাজনীতি পরধর্ম বিদ্বেষের ভাইরাস মানবাধিকার বিরোধী এবং মানবতার কল্যাণে নিবেদিত বাংলাদেশ! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে বাঙালী জাতির আত্মপরিচয়ের ইতিহাসে ঐতিহাসিক “বাঙালী শব্দ মানে স্বাধীন আলোকপ্রাপ্ত সিদ্ধপুরুষ! আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী” চর্যাপদে ৪৯ নম্বর কবিতায় ( চর্যায় ) বৌদ্ধসিদ্ধাচার্য মহখপন্ডিত ভুসুকুপাদ আজ আলোকপ্রাপ্ত সিদ্ধপুরুষ বা স্বাধীন বাঙালি হলেন! বিজয় দিবসে জাগ্রত করো, মানবতার কল্যাণে নিবেদিত বাংলাদেশ!
বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির বৌদ্ধ বিদ্বেষী বই প্রসঙ্গ! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত নটীর পূজা ও চন্ডালিকায় গৌতমবুদ্ধ নারী জাতির পরম মঙ্গলময় হলো কিন্তু মুসলমান রাজনীতির লেখায় ও হমায়ুন আহমেদের লেখায় পূজনীয় গৌতমবুদ্ধ নারীবিদ্বেষী কেন? ইসলাম ধর্মের লেখায় “নারী কি বিশ্বনবীত্ব লাভ করতে পারেন? হমায়ুন আহমেদ” রাবনের দেশে আমি ও আমরা’ বইটি বৌদ্ধ ইতিহাসকে বিকৃত এবং গৌতমবুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি করে বুদ্ধের জীবনী রচনা করে লেখক বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে চরম আঘাত করেছেন। হমায়ুন আহমেদের লেখা “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বইতে পূজনীয় গৌতমবুদ্ধ শ্রীলংকার আল্লাহ হল কেন? বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির বৌদ্ধ বিদ্বেষী বই পুরাপুরি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত! বৌদ্ধধর্মে নারী ও বুদ্ধত্ব লাভ করতে পারেন! ইসলাম ধর্মের লেখায় কিন্তু “নারী” বিশ্বনবীত্ব লাভ করতে পারেন না এবং বাংলাদেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধ গ্রাম ও বৌদ্ধধর্ম কেন? লেখক গোলাম মুস্তাফা ১৯৪০ সালে “বিশ্বনবী” নামক একটি গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত।
ধর্মান্ধ রাজনীতি বৌদ্ধদের দেশ ও বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি কেড়ে নিল! বাংলাদেশে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী .বিলুপ্ত হওয়ার পথে! সমকাল পত্রিকা থেকে (7 JULY 2023)! পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় অবস্থিত শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের বয়স প্রায় আড়াইশ বছর। বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন (720 A. D. TO 1131 A. D.) এবং আজ ষড়যন্ত্রের যাঁতাকলে নানা সংকটে বৌদ্ধ রাখাইনরা বিলীন হওয়ারশঙ্কায়….বিলুপ্ত হওয়ার পথে! সমকাল পত্রিকা থেকে (7 JULY 2023)! যুগ যুগ ধরে স্থানীয় রাখাইন আদিবাসীরা এখানে গৌতমবুদ্ধের উপাসনা করে আসছেন। তবে চিটিংবাজ দখলদারদের হ্যাপিনেস সুখের চর্চায় স্থানীয় রাখাইনদের বসতির জায়গা, কৃষিজমি, পুকুর ও শ্মশানের অনেকটাই দখল হয়ে গেছে। এবং লোভের শিকার হয়ে বিহারের অনেক জায়গাই হারিয়ে গেছে। এখনও চলছে দখল প্রক্রিয়া। এ ছাড়া জমি দখলের সঙ্গে সঙ্গে দ্রæত কমছে এ স¤প্রদায়ের জনসংখ্যা। এ স¤প্রদায়ের লোকজন আশঙ্কা করছে, এভাবে চললে এ অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে তারা। “বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ধর্মের নামে মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতি কেন?”
হমায়ুন আহমেদের “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” বইটি বৌদ্ধ ইতিহাসকে বিকৃত এবং গৌতমবুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি করে বুদ্ধের জীবনী রচনা করে লেখক বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে চরম আঘাত করেছেন। লেখক হুমায়ুন শ্রীলংকায় গিয়ে কি শুধু রাবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে গৌতমবুদ্ধের প্রচারিত বৌদ্ধধর্মে বাংলাভাষায় সর্ব প্রথম বাংলা সাহিত্যের নাম চর্যাপদের কথা একদম ভুলে গেলেন? ছিঃ! হুমায়ুন আহমেদ ছিঃ! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লেখক হুমায়ুন ‘রাবনের দেশে আমি ও আমরা’ বইটি লিখেছেন। উক্ত বইয়ের শেষে আল্লাহের নাম দিয়ে বুদ্ধ নামকে হালাল করার পর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে লেখক হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন, “পুত্র নিষাদের কাছে গৌতমবুদ্ধ শ্রীলঙ্কার আল্লাহ। সে যথাযথ ভক্তি নিয়ে শ্রীলঙ্কার আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছে (৩৮ পৃষ্ঠা)।” বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আরবের আল্লাহ কি শ্রীলঙ্কার বুদ্ধ হবে? আরবের ধর্ম বঙ্গজয় করলে ও গৌতমবুদ্ধ বাংলাদেশের এই কথা হুমায়ুন আহমেদ কোথাও স্বীকার করেননি।
২০১২ সালে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লেখক হুমায়ুন আহমেদ ‘রাবনের দেশে আমি ও আমরা’ বইটি লিখেছেন। ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে রামুর মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে! বাংলাদেশে হিন্দুবৌদ্ধদের ভাঙাগড়া ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির হাতে কেন? রামুর মুসলমান ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিলে ও রামুর মুসলমান নেতাদের বিচার হলো না কেন? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ইসলামীক ষড়যন্ত্রের যাঁতাকলে বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে! মুসলমানদের ধর্মান্ধ রাজনীতি বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর বিলুপ্ততায় মনুষ্যত্ব প্রসঙ্গ!
বৌদ্ধধর্মের শ্রীমালাদেবী (the daughter of King Prasanjit) সিংহনাদ সূত্র মতে, নারী ও বুদ্ধত্ব লাভ করতে পারেন! বুদ্ধত্ব লাভ করার বোধিসত্ত¡ পন্থা (অনেক জন্মের সাধনা & Evolution of Wisdom) অবলম্বনে নারী ও বুদ্ধত্বলাভ করতে পারেন এবং শ্রীমালাদেবী (the daughter of King Prasanjit) সিংহনাদ মহাযান বৌদ্ধধর্মের সূত্র মতে গৌতমবুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করার বোধিসত্ত¡ পন্থা (অনেক জন্মের সাধনা) নির্দেশ করেছেন (The seeker’s Glossary of Buddhism page 578. Japanese Emperor Prince Shotoku (574 to 622) wrote a book in explaining the Buddhahood for Buddhist women)! প্রাচীন বাংলাদেশের বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ সম্পর্কে জনপ্রিয় লেখক কথাশিল্পী শওকত আলী তিনি তাঁর লেখা ‘প্রদোষে প্রাকৃত জন’ এবং ‘দুষ্কালের দিবানিশি’ গ্রন্থদ্বয়ে ব্যাখ্যা করেছেন।
গৌতমবুদ্ধ বগুড়ায় তাঁর ধর্ম প্রচার করে ও হমায়ুন আহমেদের লেখা “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বইতে শ্রীলংকার আল্লাহ হল কেন? বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির ইতিহাসের প্রধান সমস্যা এই যে “শ্রীলংকার আল্লাহ” এটা পুরাপুরি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত, এবং হুমায়ুন আহমেদ বুদ্ধের দোষ খুঁজে বের করতে প্রথমে সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগের ভুল পাঠকদের সামনে তুলে ধরলেন, উক্ত বইতে বৌদ্ধ ইতিহাসকে বিকৃত এবং গৌতমবুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি করে লেখক হুমায়ুন আহমেদ ‘পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে লিখেছেন, “যশোধারার স্বামী (জগজ্জ্যোতি গৌতমবুদ্ধ) দরজায় দরজায় ঘুরতে লাগলেন (৩৫ পৃষ্ঠা)। আমরা এখন আছি গৌতমবুদ্ধের দেশে।”
বাংলাদেশে দিন বদলের যে মডেল বা প্যারাডাইমে মুসলমান রাজনীতির (B.C.S. Text Book in 2017) পরধর্মবিদ্বেষের ভাইরাস মানবাধিকার বিরোধী! পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে মুসলমান রাজনীতি নারী বিদ্বেষী বানিয়ে গোলে মালে আধুনিক সমাজের চোখে ধূলো চলে। প্রতীত্যসমূৎপাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে দ্বাদশ নিদানযুক্ত দু:খের কারণ যা বুদ্ধ বর্ণনা করেছেন। In the BUDDHIST SCIENCE. দু:খের জননী হল (১) অবিদ্যা (IGNORANCE) (২) সংস্কারের (Mental formations or IMPULSES) অর্থ হল কর্ম সংস্কার। অবিদ্যা নষ্ট হতেই তাঁর সোজা প্রভার সংস্কারের উপর এসে যায়। কর্ম সংস্কার হতে (৩) বিজ্ঞান (Consciousness) উৎপন্ন হয়। বিজ্ঞান নাশ হতেই যে (৪) নাম-রূপ (Matter & Mind. কার্যরূপী শরীর হয় তাও নাশ হয়ে যায়। (৫) ষড়ায়তন (Sense Gates) হতে স্পর্শ হয়ে থাকে। ষড় ইন্দ্রিয়ের অর্থ এখানে, পঞ্চ বাহ্য ইন্দ্রিয় এবং এক মনেন্দ্রিয়। নাম-রূপে শরীর নষ্ট হতেই ষড়ায়তন, যা আমাদের ছয় ইন্দ্রিয় রয়েছে তাও নষ্ট হয়ে যায়। (৬) স্পর্শের (Contact) অর্থ হল ইন্দ্রিয় সমূহের বিষয় হতে সম্পর্ক। (৭) বেদনার (Feeling) অর্থ হল ইন্দ্রিয় সমূহের অনুভ‚তি বা ইন্দ্রিয়ানুভব। এ প্রকারে ইহা দেখা হয়েছে যে, যখন শরীরের অঙ্গই থাকবে না, বেদনা হতে উৎপন্ন হয় ( তৃষ্ণা (Craving) তৃষ্ণার অর্থ হল ইন্দ্রিয় সুখের প্রতি তীব্র ইচ্ছা। এবং তৃষ্ণা কারণ হয়ে কার্য বেদনার জন্ম দিয়ে থাকে। (৯) উপাদান (প্রবলাসক্তি or Attachment and Clinging)! (১০) ভবের (Becoming) কারণে (১১) জন্ম (Bith) নেওয়ার ইচ্ছা! (১২) জরা-(diseases) মরণ (death)!
বৌদ্ধ ত্রিপিটকে বুদ্ধের মহাউপাসিকা বিশাখা, মহাভিক্ষুনী ক্ষেমা ও উৎপলা বর্ণা এবং বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদে Great scholars and Meditation Masters বৌদ্ধ মহিলাগণ (সিদ্ধার্যগণের) অভিধর্ম মনস্তত্ত¡ দিয়ে কবিতা রচনা করেছেন! বোধিসত্ত¡ পন্থায় নারী ও বুদ্ধত্বলাভ করতে পারেন এবং শ্রীমালাদেবী (the daughter of King Prasanjit) সিংহনাদ মহাযান বৌদ্ধধর্মের সূত্র মতে গৌতমবুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করার বোধিসত্ত¡ পন্থা (অনেক জন্মের সাধনা) নির্দেশ করেছেন। উক্ত পথ অবলম্বনে নারী ও বুদ্ধত্বলাভ করতে পারেন! মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস) চিত্ত, চৈতসিক অভিধর্ম মনস্তত্তে¡র পথ এবং বুদ্ধত্ব লাভ করার বোধিসত্ত¡ পন্থা (অনেক জন্মের সাধনা) অবলম্বনে নারী ও বুদ্ধত্বলাভ করতে পারেন। বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদে মহিলা writers (সিদ্ধার্যগণের) নাম: মেখলা (২) কঙ্কলা (৩) মণিভদ্র (৪) লাক্ষিম্কারা (৫) নিগু ডাকিনি ও (৬) ময়নামতি। বৌদ্ধ চর্যাপদ যোগাসনে ধ্যানস্থ ও তান্ত্রিক মতে, গুহ্য নাভি মূলকে বলা হয় নির্মানচক্র, হদয়ে ধর্মচক্র, কন্ঠে সম্ভোচক্র, মস্তিষ্কে মহাসুখচক্র। দেহের নাড়িকে সংযত করার সাধনা তান্ত্রিক সাধনা। কারন, স্থান কাল পাত্র এবং মহাযান বৌদ্ধধর্ম সহ সাইকোলিজি বা রুপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার, মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস) চিত্ত, চৈতসিক অভিধর্ম মনস্তত্তে¡র বিভিন্ন শাখা প্রশাখার নানা কঠিন বিষয় অবতারনা করেছেন। দেহে বামে ইড়া, ডানে পিঙ্গলা, মাঝে সুষূ¤œা নাড়ি। সুষ¤œা নৈরাত্মা, বোধিচিত্ত, অবধূতী বা যোগীনির প্রতীক। ইড়া পিঙ্গলাকে যথাক্রমে শক্তি ও শিবের প্রতীক। ইড়া পিঙ্গলাকে সাধনার মাধ্যমে সুষু¤œাতে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর সাধনায় সষু¤œা পরিনত হবে সহস্রায় বা মহাসুখ চক্রে। সেখানেই আছে মহা সহজানন্দ।
বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ইসলাম ধর্ম ও হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য “GENDER, SOCIETY AND DEVELOPMENT“ শীর্ষক বইটিতে দেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইটিতে অপরাধের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই (A father made her daughter prostitute) আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও (Buddhist family life is not good) বটে। (১) Mr. Azizul Hoq Khan (২) Mr. Mahamudul Ala (৩) Mr. Bilas Mallik and (৪) Mr. Ujjal Chakraborty “লেখকগণ “Gender, Society and Development শীর্ষক বইটি লিখেছেন (For B.A (Honours) Fourth Year Social Science students in Bengali“ গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত!
বাংলাদেশ এই প্রজন্ম স্বপ্ন দেখে, আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত একটি দেশ। আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর বিলুপ্ততায় মনুষ্যত্ব প্রসঙ্গ! বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে কেন? ধর্ম হবে এক আলোকবর্তিকা। ধর্মের জিগির তুলে ধর্মান্ধ রাজনীতি বৌদ্ধদের দেশ ও বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি বা বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মুক্তচিন্তা ও বিশ্বাসকে ভুল পথে প্রবাহিত করে স্বার্থোদ্ধারে দেশ- ও জাতির জন্য ক্ষতিকর কাজে তাদের কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এই প্রজন্ম স্বপ্ন দেখে, আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত একটি দেশ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ও জামায়াত-শিবিরের হিন্দু ও বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ কেন? ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংক জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, ‘যেখানে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাÐের বিবরণ দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএইডকে নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে- জামায়াত-শিবিরসহ সমমনা দলগুলোকে যেন কোনো রকম প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। এতে আরও বলা হয়েছে- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বাধীনতার মূল্য দিতে গিয়ে ৩০ লাখ মৃত্যু, ২ লাখ নারী ধর্ষণ এবং ১ কোটি মানুষের দেশান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার অধিকাংশের সঙ্গে জামায়াতের জঙ্গিরা জড়িত।’
‘মার্কিন আইনপ্রণেতার এই বিলে আরও বলা হয়েছে- ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের হামলার শিকার হয়েছে, যার ফলে নভেম্বর ২০১৩ থেকে জানুয়ারি ২০১৪-এর ভেতর ৪৯৫টি হিন্দু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৫৮৫টি দোকান আক্রান্ত ও লুণ্ঠিত হয়েছে এবং ১৬৯টি মন্দির ধ্বংস হয়েছে।’ ‘জিম ব্যাংকের এই বিলকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘মিডলইস্ট ফোরাম’ বলেছে, জামায়াতে ইসলামী একটি ভয়ঙ্কর প্রভাবশালী গোষ্ঠী, যাদের সন্ত্রাসের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’
ধর্ম মানে হল মানবতার কল্যাণে নিবেদিত “অহিংসার প্রতিচ্ছবি, জগতের সকল প্রাণী সূখী হউক এবং দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক। সমগ্গানং তপো সুখো” সমগ্রতা বা সংঘের ঐক্যতাই মহাসুখ, বুদ্ধের এ মহাবাণী! “সমাজে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষকে উজ্জীবিত করে তোলার মূলমন্ত্র হবে এই ধর্ম। ধর্মান্ধ আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হয়েছে! মুসলমানদের ধর্মান্ধ রাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি কেড়ে নিল! বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে কেন?
সমাজে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষকে উজ্জীবিত করে তোলার মূলমন্ত্র হবে এই ধর্ম। সবার ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক জীবন হবে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সংস্কার ও আদর্শ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। সেখানে কেউ কারও বিশ্বাসের প্রতি অবজ্ঞা হেতু কুৎসিত আক্রমণ করবে না। ধর্মান্ধ ইসলামিক রাজনীতিতে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর বিলুপ্ততায় মনুষ্যত্ব প্রসঙ্গ! আমরা চাই বাংলাদেশের তরুণদের একদিকে থাকবে বিশ্বাস, আরেকদিকে থাকবে যুক্তি ও বিবেক।
১. পাকিস্তান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ
২. আফগানিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ।
৩. কাজাখস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ।
৪. উজবেকিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ।
৫. তাজিকিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ।
৬. আজারবাইজান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ।
৭. মালদ্বীপ বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ।
৮. বাংলাদেশ ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি