বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণের জনপ্রিয় মুখ নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১৭ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। তবে খুব বেশিদিন একসঙ্গে থাকা হয়নি তাদের। মাত্র চার বছর পর ২০২১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এবার তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই জুটির ভাঙনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক চক্রান্ত, সম্প্রতি তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখা এমনটাই দাবি করেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায় কোনডা সুরেখার দাবি, এই চক্রান্তের পেছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাওয়ের। এক রাজনৈতিক সভায় দেয়া বক্তব্যেই এমনটা দাবি করেন কোনডা সুরেখা। তিনি বলেন, কেটি রামা রাওয়ের জন্যেই সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে। উনি তৎকালীন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন অভিনেত্রীর ফোনে আড়ি পাতা তার কাজ ছিল। আড়ি পেতে অভিনেত্রীদের সংবেদনশীল তথ্য খুঁজে বের করতেন। এরপর সেই গোপন তথ্য দিয়ে অভিনেত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন।
তিনি আরও দাবী করেন, অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে একপ্রকার বাধ্য করতেন সেই মন্ত্রী। যে কারণে সংসার জীবনে বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি থাকত না। এ কথা সবাই জানেন। সামান্থা জানেন, নাগা চৈতন্য জানেন, তাদের বাড়ির মানুষেরা জানেন।
এদিকে, কোনডা সুরেখার কথা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছেন। বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়ে জবাব দিয়েছেন সামান্থা। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সামান্থা। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত জীবনকে যেন রাজনীতির লড়াইয়ে না টানা হয়।
প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগা চৈতন্যের বাবা অভিনেতা নাগার্জুনও। তিনি বলেছেন, সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক এবং মিথ্যা। তিনি এই বক্তব্য তুলে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। এদিকে মানহানি করার কারণে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন কেটি রামা রাও। রামা রাওয়ের পার্টির নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী হরিশ রাও এই বক্তব্যের কারণে ক্ষমা চাইতে বলেছেন কোনডা সুরেখাকে।