অনলাইন ডেস্ক : ধর্ম উপদেষ্টা আ,ফ,ম,খালিদ হোসাইন বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং বায়তুল মোকাররমে দুর্নীতি তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, দলবাজি করে এই প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি অর্থ লোপাটকারীদের বিন্দুমাত্র ও ছাড় দেওয়া হবে না।

তাদের সম্পদের হিসাব নেয়া হবে। ২০০৯ সালে তাদের সম্পদ কত ছিল এবং ২০২৪ সালে তাদের সম্পদ কত তা কড়াই-কন্ডায় হিসাব নেওয়া হবে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের বিভিন্ন পদে আসীন ব্যক্তিবর্গের উচিত নিজের গ্রহণযোগ্যতা এবং অবস্থান বিবেচনা করা। নিজের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়া। নইলে তাদেরকে অপসারণ করা হবে। সে অপসারণ কোনক্রমেই সম্মানজনক হবে না।

ধর্ম উপদেষ্টা আজ বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভা কক্ষে “দারুল আরকাম মাদরাসা- সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম সচিব আব্দুল হামিদ জমাদ্দার।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন, দারুল আরকাম মাদরাসা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুস সবুর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয় বিভাগের পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার এবং ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফ্ফর আহমদ মুজাদ্দেদী, ইফার পরিচালক আনিসুজ্জামান সিকদার, পরিচালক ড. সৈয়দ শাহ এমরান, পরিচালক হাজেরা খাতুন, উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল আলম মজুমদার।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্জন অল্প সময়ে অনেক বেশি ছিল। একসময় এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল ইসলামী স্কলারদের মিলনমেলা। কিন্তু আজ এটি ধ্বংস হয়ে গেছে। ২০০৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানে গবেষণা ধর্মী কোন বই বের হয়নি। মাসিক পত্রিকা গুলো তিন মাসের একবার বের হয় না। সবাই শুধু দলবাজি আর টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত। এসব কিছুর জন্য মূল্য দিতে হবে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হালাল হারাম যাদের চিন্তায় নাই তারা এখানে চাকরি করতে আসা উচিত নয়।

উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেধাবী কর্মকর্তা যারা মাঠ পর্যায়ে পড়ে আছেন তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে । প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন উদ্যেমে কাজ করে তার পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এই কাজেই ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সর্বাত্মক আর্থিক এবং প্রশাসনিক সহায়তা দেয়া হবে।

কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া প্রেক্ষিতে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দেশের বর্তমান যে অর্থনৈতিক অবস্থা এ অবস্থার উন্নতি হলে তবে এ বিষয়গুলো মেনে নেয়া সম্ভব হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছুদিন তাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের আত্মত্যাগের বিষয়টি স্মরণ রেখে নিজেদের ভোগ বিলাস পরিহারের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ঢাকা প্রধান কার্যালয় এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।