সোনা কান্তি বড়ুয়া : বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই বেদনাদায়ক। ‘চার্টার অব রাইটস’ সবারই অধিকারকে রক্ষা করে। বেয়াদপ ধর্মান্ধ রাজনীতির সন্ত্রাসবাদ কক্সবাজার জেলার উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ পূজনীয় ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে গত ৩ জুলাই রাতে বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা পূজনীয় ধর্মজ্যোতি ভিক্ষু ভান্তেকে (বৌদ্ধ ভিক্ষুকে) উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভান্তেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরদিন সন্ধ্যা ৬টায় ভর্তি করানো হয়। ধর্মান্ধ ইসলামী রাজনীতির ইসলামীকরণ বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গ্রাস করে ফেলেছে ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতির সন্ত্রাসবাদ ও মুসলমান লেখকগণ প্রতিবছর গৌতমবুদ্ধের বিরুদ্ধে- বই লিখে ও প্রতিবছর বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করছে!! বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ মানে বাংলাদেশের রাজনীতি বৌদ্ধ জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য বাংলাদেশে প্রতিবছর বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা করছে! কক্সবাজার জেলার উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষু আজ ৫ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ICU তে থাকা অবস্থায় পরলোক গমন করেন (অনিচ্চা বতসংখারা)। ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষু গত ৩ জুলাই আক্রান্ত হওয়ার পর উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেন পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যা ৬টায় ভর্তি হন এবং ঐ দিনই দিবাগত রাতেই হার্ট অ্যাটাক করেন বলে ডিউটিরত ডাক্তারগণ জানান। পরলোকগত ভদন্ত ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষুকন্থক বুড্ডিস্ট ইউনিটি পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি এবং প্রয়াত ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষু নির্বাণ কামনায় পূন্যরাশি দান করছি। পরলোকগত ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে হামলাকারীদের (খুনিদের) গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

শ্রীমৎ ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে ৭ জুলাই, শুক্রবার, সকাল ১০টায় রামু চৌমুহনী চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব- রামু উপজেলা শাখা। এখন আমাদের বৌদ্ধ ভিক্ষুকে খুনের দায় নেবে কে? ধর্মান্ধরা বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা করে বাংলাদেশকে মুসলমান রাষ্ট্র বানষনোর ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র করছে! প্রশাসনের অবহেলায় ধর্মের ঘৃতে রাজনীতির মধু মিশে বিষক্রিয়া হয়! বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতির মুসলমান লেখকগণ বৌদ্ধ বিদ্বেসী বই লিখে এবং প্রতিবছর ধর্মান্ধরা বৌদ্ধ ভিক্ষু উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করছে!

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই (A father made her daughter as a prostitute) আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও (Buddhist family life is not good) বটে। (১) Mr. Azizul Hoq Khan (২) Mr. Mahamudul Ala (৩) Mr. Bilas Mallik and (৪) Mr. Ujjal Chakraborty “লেখকগণ “Gender, Society and Development শীর্ষক বইটি লিখেছেন (For B.A (Honours) Fourth Year Social Science students in Bengali “গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত, better! ধর্মের বিশ্বমৈত্রীতে বিদ্বেষটাই ধর্মান্ধদের অধর্ম! বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে ২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বই অমুসলিম ধর্ম নিয়ে নিয়মিতই কটূক্তি করে যাচ্ছেন! ধর্ম বিশ্বাসের কারনে আফগানিস্থাণের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তিকে নিয়ে মুসলমান রাজনীতির ভয় কেন?

বাংলাদেশ আমাদের বৌদ্ধদের জন্মান্তরের জীবনের অস্তিত্ব! বাংলাদেশের অপাপবিদ্ধ শান্তিকামী বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে চরম আঘাত করতে বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে বাংলাদেশে মুসলমান লেখকগণ গৌতমবুদ্ধকে ব্যঙ্গরুপদানে অত্যন্ত নোংরা ও কুরুচিপূর্ণতথ্য বিভ্রাট ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে কালেক্ট’র স এডিশন ‘বুদ্ধ’ শীর্ষক বই লিখেছেন! মূলের (TRIPATAKA & Buddhist Text) সাথে মিল না রেখে- মুসলমান লেখকগণ তাদের ইচ্ছে মতো – গ্রন্থটির অভ্যান্তরের বেশ কিছু চিত্র দেখা মাত্রই যেকোনো বৌদ্ধ ধর্মবিশ্বাসীর মনে বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে বিরূপ ও বিকৃত ধারনা উদিত হতে বাধ্য! এই যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরা! শিশু কিশোর বা অবৌদ্ধ পাঠকের কথা বাদই দিলাম! মুসলমান লেখকগণ যৌনতায় ভরপুর কুরুচি ও অমার্জিত ছবি/চিত্র সম্পাদনা করে- বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্মকে কাম সূত্রের ছায়াপটে উপস্থাপন করেছেন! বাংলাদেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? যৌনতায় ভরপুর কুরুচি ও অমার্জিত ছবি/চিত্র সম্পাদনা করে কালেক্ট’রস এডিশন ‘বুদ্ধ’ শীর্ষক বই বই লিখেছেন!

আল্লাহর গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস কেন? বাংলাদেশে কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞের ফল আল্লার গজব এবং ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা! মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ১১ বছর অতিবাহিত হলেও মামলার বিচার এখনো শুরু না করে বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে , ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে কালেক্ট’র স এডিশন ‘বুদ্ধ’ শীর্ষক বই লিখেছেন! বৌদ্ধ ধর্মকে নিশ্চিহ্ন করে বৌদ্ধদেশে ইসলামীকরণ হ’ল কেন?

(১) লেখক গোলাম মুস্তাফা ১৯৪০ সালে “বিশ্বনবী” নামক একটি গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত। একে বলা হয় Islamic ধর্মের সহনশীলতার বকওয়াস। (২) হুমায়ুন আহমেদ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শ্রীলঙ্কায় তার ভ্রমণ কাহিনী ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলা ভাষা এবং চর্যাপদের জনক গৌতমবুদ্ধের জীবনী, ইতিহাস এবং বৌদ্ধ শিল্প সম্পর্কে কটূক্তি করে “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বই লিখেছেন।

কিন্তু সেই গুড়ে বালি, Radical Islam’s TERRORISM, and স¤প্রতি টরন্টোর বাংলাদেশী সাপ্তাহিক “আজকাল” (১১ আগষ্ট, ২০০৯) পত্রিকার ৩০ পৃষ্ঠায় ইংরেজি সংবাদে আমরা পড়েছি, “বৌদ্ধধর্ম পৃথিবীর “সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের ”পুরস্কার লাভ করেছেন।” (২) হুমায়ুন আহমেদ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শ্রীলঙ্কায় তার ভ্রমণ কাহিনী ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলা ভাষা এবং চর্যাপদের জনক গৌতমবুদ্ধের জীবনী, ইতিহাস এবং বৌদ্ধ শিল্প সম্পর্কে কটূক্তি করে “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বই লিখেছেন। লেখকের মতে, “আমরা এখন আছি গৌতমবুদ্ধের দেশে। যেখানেই চোখ যায় শুধু বুদ্ধমূর্তি (পৃষ্ঠা ৩২)।” লেখক হুমায়ুন আহমেদ ২০১০ সালে বৌদ্ধধর্মের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ‘রাবনের দেশে আমি ও আমরা’ বইটি লিখেছেন। লেখকের মতে, “এখন আছি গৌতমবুদ্ধের দেশে। যেখানেই চোখ যায় শুধু বুদ্ধমূর্তি (পৃষ্ঠা ৩২)।” বুদ্ধের দেশ শ্রীলঙ্কা (Ceylon) কি কারণে ‘রাবনের দেশ’ হল? আরাকান রাজ সভায় বাংলা সাহিত্যের ’ কথা মনে পড়ে গেল। আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া নৈতিক অপরাধ এবং “১৬৫৯ সালে এই রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে যোগদান থাকায় মহাকবি আলাওলের ৫০ দিনের কারাবাস হয়েছিল (নয়া দিগন্ত, ১৪ জানুয়ারি, ২০০৮)।”)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! বাংলাদেশে সংবিধানে জামায়াতের রাষ্ট্রধর্মের প্রবেশ নিষেধ। বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে সর্বগ্রাসী অমানবিক ধর্মান্ধ ইসলামী রাজনীতির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র কেন? সেকুলার, মদিনা সনদের ২৫ অনুচ্চেদে বলা হয়েছে “ইহুদিগণ ও মুসলমানগণ এক উম্মাহ (জাতি), ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, এবং মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম (জনকণ্ঠ, ৫ নভেম্বর, ২০০৯)।” বাংলাদেশের ধর্মান্ধ রাজনীতির সন্ত্রাসবাদ অন্যের ধর্ম, ভিন্ন মতকে শ্রদ্ধা করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে প্রশ্রয় পাচ্ছে দানবিক জিঘাংসা। পরমতসহিষ্ণুতা আমাদের সমাজ ও রাজনীতি থেকে আজ নির্বাসিত। জঙ্গিবাদের প্রধান শক্তি ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং অর্থ। কক্সবাজার জেলার উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ পূজনীয় ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে ছুরিকাঘাতে খুনের তিন দিন পার হলেও এখনো খুনিকে শনাক্ত ও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি প্রশাসন। এই নৃশংস খুনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

দেশে বিদেশের সুধীবৃন্দের সাথে নানা জায়গায় বিভিন্ন আলাপ আলোচনা হয়েছে। ধর্মান্ধ মুসলমানের মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সাঃ) মেয়ে মহান ফাতেমাকে (RA) হত্যা করল কেন? প্রশ্ন : ফাতেমা এর মৃত্যুর মূল রহস্য ফাতেমা (RA)! উত্তর : এ পশ্নের উত্তর দেয়ার পূর্বে তার দৈহিক আঘাতের কারনাদি সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন (শারহুত তাজরিদ/৩৭৬)। ফাতেমা আ. এর দৈহিক আঘাত প্রাপ্তির মূল কারণ সমূহ! ফাতেমা আ. এর দৈহিক আঘাত প্রাপ্তির মূল কারণ সমূহ নিম্নরূপ: ১- নবীর মৃত্যুতে গভীর শোক, সবেদনা ও কান্না। ২- নবীর ওসি অর্থাৎ হযরত আলীর মজদুরিয়াত ও নিঃসঙ্গতার কারণে আত্মিক শোক ও প্রতিরক্ষা ছিল দৈহিক আঘাতের দ্বিতীয় কারণ। ইবনে শাহর অশুব (মৃ: ৫৯৯ হি.) বর্ণনা করেছেন : “উম্মে সালমা ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে বলল : ওহে নবী কন্যা! কিভাবে রাত কাটালেন।

ফাতেমার পেটে ওমর এমন আঘাত হেনেছিল যে কারণে গর্ভের সন্তান পড়ে যায় (তালখিছুশ শাফি, ৩/১৫৬)। মুহাম্মদ ইবনে জারির ইবনে রুস্তম তাবারি (মৃ: চতূর্থ হিজরি) বর্ণনা করেন: নবী (সা:) যখন মারা গেলেন, তারপর যেদিন ফাতেমার ঘরে হামলার ঘটনা ঘটল, আমিরুল মুমিনিনকে জোরপূর্বক বের করে আনা হল এবং ঐ পুরুষের দ্বারা যে বালা ফাতেমার উপর আসল, যে কারণে তাঁর গর্ভের পূর্ণ ছেলে-সন্তানের গর্ভপাত ঘটল। আর এটাই ছিল তাঁর অসুস্থতা ও মৃত্যুর মূল কারণ (দালায়েল উল ইমামাহ/২৭)। আল্লামা হিল্লি (মৃ: ৭২৬ হি.) বর্ণনা করেন, – ফাতেমাকে আ. এমন আঘাত হানা হল, যে কারণে তার গর্ভের সন্তান ‘মোহসেন’ পড়ে গেল ..(শারহুত তাজরিদ/৩৭৬)।

কিন্তু দেশ সর্বদা মনে থাকে এবং এখন আমাদের দেশের ট্রাজেডির কথা লিখছি। জয় বাংলা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করতে জোট সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক সূতোয় বোনা রক্তাক্ত ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠের রক্ত ঝরা প্রতিটি গ্রেনেডের চাদর। সেই চাদরের ভাঁজে ভাঁজে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ বধের নামে বীভৎস হত্যালীলা। বাংলাদেশে বিগত জোট সরকার ২০০৪ সালের একুশের আগষ্ঠের হত্যাকারীদের সম্পর্কে সবকিছু জেনে ও না জানার নাটক করতে সন্ত্রাসের রাক্ষসগণকে ধর্ম ও রাজনীতির বোরকায় লুকিয়ে রেখেছে। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) মেয়ে তখন মদীনায় যে রাষ্ঠ্র প্রতিষ্ঠা করেন তা ইসলামী রাষ্ঠ্র নয়, ইতিহাসের মতে তা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ বা সেকুলার, মদিনা সনদের ২৫ অনুচ্চেদে বলা হয়েছে “ইহুদিগণ ও মুসলমানগণ এক উম্মাহ (জাতি), ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, এবং মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম (জনকণ্ঠ, ৫ নভেম্বর, ২০০৯)।”

মূলত ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের দুটি উঁচু ভবন ‘টুইন টাওয়ার’-এ বিমান হামলার পর থেকে নচিটিংবাজ মুসলমান সন্ত্রাসবাদ গোটা দুনিয়ায় পরিচিতি পায়। সে সময় এই হামলার জন্য জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ও এর প্রধান চিটিংবাজ মুসলমান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়। আমেরিকার সৈন্যরা আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের এবোটাবাদে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে হত্যা করে হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে।

জঙ্গিবাদীরা মানুষকে আবার অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্টেট, তালেবান ও আল কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠী দেশে দেশে চোরাগোপ্তা হামলা করছে। ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধত্ব আর কুসংস্কার দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা যাবে না। সে সঙ্গে জঙ্গিবাদের অন্যতম শক্তি অর্থ জোগানের উৎস বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, জঙ্গিবাদের মদতদাতা, পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যে-ই হোক, তাদের কঠোর শাস্তি প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ১. পাকিস্তান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ ১ ২. আফগানিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ। ৩. কাজাখস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ। ৪. উজবেকিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ। ৫. তাজিকিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ। ৬. আজারবাইজান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ। ৭. মালদ্বীপ বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ। ৮. বাংলাদেশ ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ,অবশিষ্ট বিলুপ্তি সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ৯. মালয়েশিয়া বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ। ১০. ইন্দোনেশিয়া বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ। ১১. খোটান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ। ১২. তুর্কমেনিস্তান বৌদ্ধ দেশ ছিল এখন মুসলিম দেশ। ১৩. কিরগিস্তান ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ। ১৪. ইরান প্রদেশ ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ। ১৫. বেলুচিস্তান প্রদেশ ছিল বৌদ্ধ দেশ এখন মুসলিম দেশ।

আমাদের দেশের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে- এটা বলে আমরা এক প্রকার স্বস্তি বোধ করলেও সময় এসেছে এ বিষয়ে আরো বেশি অনুসন্ধানী হওয়ার। বাংলাদেশে প্রতিবছর নিরীহ বৌদ্ধ ভিক্ষু মানুষদের হত্যা করা হয়েছে, তাতে মানুষ মাত্রই লজ্জিত হবেন। বিনা দোষে এভাবে মানুষ হত্যা করে জঙ্গিরা আসলে কী অর্জন করতে চায়, তা অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। জঙ্গিদের ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার প্রাথমিকভাবে নমনীয়তা দেখালেও আন্তর্জাতিক চাপে তাদেরও কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছিল। বর্তমান সরকার অবশ্য আগাগোড়া জঙ্গি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে। দেশের আহমদিয়া মসজিদে হামলা, সংখ্যালঘু হত্যা, গির্জার পুরোহিতকে হত্যা কিংবা নোয়াখালীর এক মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারি ক্যাফেতে এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে!

বাংলাদেশেরস্বাধীনতার কাছে পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতির ধর্মান্ধরা বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা করছে বাংলাদেশকে মুসলমান রাষ্ট্র বানষতে! বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান! এবং ভারত বা ভুটানের আগে তো কোন মুসলমান রাষ্ঠ্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নি। ‘চার্টার অব রাইটস’ সবারই অধিকারকে রক্ষা করে। ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ এই বিষয়টার মধ্যে যে সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের মশলা আছে তা জনমানসের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সংক্রমিত! লাদেশের আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক ধর্মান্ধ ইসলামী রাজনীতির জামায়াতের নৈতিক অপরাধ! এবং বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে সর্বগ্রাসী অমানবিক ধর্মান্ধ ইসলাম রাজনীতির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র কেন?

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি