সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাংলাদেশে “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।” বিংশ শতাব্দীর সেরা মানুষ (টাইম ম্যাগাজিন মতে) অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫), “Science and Religion” ২২৫ নম্বর প্রবন্ধ (১৯৪১) নিউইয়র্কে বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম বিষয়ক সম্মেলনে উক্তি, “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।” হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চিটিংবাজ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠী অভিশপ্ত সা¤প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে! উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতারণার রাজনীতি হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িদের স্বাধীনতা কবজা করে রেখেছে!

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যা লঘুদের উপর এ ধরণের বর্বরোচিত এবং নিশৃংস কর্মকান্ডের কোনো বিচার হয় না! কিন্তু এর পেছনে রহস্য কি? রহস্য – ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার, জুমার নামাজের পর পাঞ্জাবি-টুপি পরে শান্তি কমিটির ব্যানারে পাকিস্তানের পক্ষে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে রাজপথে মিছিল বের করেছিল এই উগ্রবাদী ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ীরা। ধর্মীয় আবেগ ব্যবহারের নিখুঁত পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে তারা বেছে নিয়েছিল মুসলিমদের ধর্মীয় ছুটির দিন শুক্রবারকে। মিছিল শুরুর স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছিল বৃহত্তর মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটকে। সময়টাও ছিল ঠিক নামাজের পর। এরপর ইসলাম রক্ষার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিল এই স্বাধীনতাবিরোধীরা।

উন্মত্ত ধর্মান্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের ধর্মব্যবসা থামেনি। এরা এখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হিংসায় উন্মত্ত ধর্মান্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী এই উগ্রবাদী ধর্মান্ধভেদে বৌদ্ধধর্মের অহিংসা পরম ধর্ম! স¤প্রতি টরন্টোর বাংলাদেশী সাপ্তাহিক “আজকাল” (১১ আগষ্ট, ২০০৯) পত্রিকার ৩০ পৃষ্ঠায় ইংরেজি সংবাদে আমরা পড়েছি, বৌদ্ধধর্ম পৃথিবীর “সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের” পুরস্কার লাভ করেছেন। হজ যাত্রীর নামে সউদিতে উগ্র মৌলবাদী পাচার হচ্ছে (যায় যায় দিন, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮)।

বৌদ্ধধর্মের অহিংসা মানবতার পথ এবং হিংসা মানুষজাতির সর্বনাশের পথ। আমার বাংলাদেশ আমার ধর্ম! বাঙালি সংস্কৃতির মূল কথা হলো অসা¤প্রদায়িকতা ও স¤প্রীতি। সর্ব ধর্মের মানুষ একত্রে মানুষের ভাই বোন আত্মীয় স্বজন। ধর্মান্ধ স্বাধীনতা বিরোধী মুসলিমদের (রাজাকার, আলবদর চক্র) রাজনীতি এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ইসলাম ধর্মে রিপুর তাড়নায় মানুষ যেন বিভ্রান্তি, অসত্য, অনৈতিক কর্মে প্রবৃত্ত না হয়, সুপথ যেন পরিত্যাগ না করে কখনো ইসলাম এবং কোরবানির শিক্ষা মূলত ইহাই। শয়তানের কুপ্ররোচনা হইতে নিজেদের রক্ষা করিতে মানুষকে কোরবানির শিক্ষা ধারণ করিতে হইবে পরম বিশ্বাসে। প্রসঙ্গত: বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত (৬ : ১০৯ এবং ২২ : ৩৮) লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর চক্র যেখানে সেখানে পুরুষদের বস্ত্র উন্মোচন করে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করা হতো, মুসলমান না হওয়ার একমাত্র শাস্তি ছিল তাৎক্ষনিক মৃত্যু।

বৌদ্ধদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে ১৯৯২ ইং সনের ডিসেম্বর মাসের ১১ এবং ১২ তারিখে নোয়াখালী সেনবাগের মতোইন গ্রামের বৌদ্ধদের বাড়ি ঘর পোড়ানোর ধ্বংশ লীলা দৃশ্য! নোয়াখালী মতোইন গ্রামের কথা মনে উঠলে এখনো শরীর শিউরে উঠে! প্রায় ৩১ বছর পূর্বে ১৯৯২ ইং সনের ডিসেম্বর মাসের ১১ এবং ১২ তারিখ! স্থানীয় কিছু মুসলমান নাম ধারী মৌলবাদী সন্ত্রাসী, নোয়াখালী সেনবাগ থানার মতোইন গ্রামে প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নি হামলা চালায়! বৌদ্ধ মা-বোনকে ধর্ষণ, বৌদ্ধ বিহার আক্রমণ এবং ৩৫ ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধূলিস্যাৎ করে দেয়!

২০২৩ সালে নোয়াখালী সেনবাগে মতৈন বড়ুয়া পাড়ার রিপন চন্দ্র বড়ুয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি ভুমিদূস্যু লোকমান হোসেন জোরপূর্বক দখল করে নোয়াখালীতে বৌদ্ধদের বিহার সংলগ্ন রাস্তা দখল করে নিলো (5 MARCH 2023)! নির্লজ্জ, ধর্মান্ধ -লোভী লোকমান হোসেন ৩৫ টি বৌদ্ধ পরিবারের প্রার্থনার জায়গা বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাস্তা দখল করে নির্লজ্জ ভূমি লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনা কেন? ধর্মান্ধ লোকমান হোসেন বৌদ্ধদের জায়গা দখল করেছে! ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির ভূমি লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনার জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর এবং এক পুরো বৌদ্ধ গ্রাম আজ লোকমান হোসেন এবং ধর্মান্ধগণ ২শ আড়াইশ বছরের চলাচলের পথ হারাতে বসেছে! আমাদের কি কিছু করার নেই..? নোয়াখালীর ভুমিদূস্যুর বৌদ্ধ গ্রাম লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনায় তোলপাড় গোটা বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী! আমরা এমন জগন্য জবরদখল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

“ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।” ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে অবশেষে নিরুপায় হয়ে বাংলার বৌদ্ধগণ ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া এক সময় বৌদ্ধপ্রধান দেশ ছিলো! ইসলামি রাজনীতি বৌদ্ধধর্ম এবং বৌদ্ধ প্রধান দেশকে অজগরের মতো গিলে ফেলেছে!
বাংলাদেশে থেকে যদি এই অত্যাচারিত হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়ি সংখ্যালঘু স¤প্রদায় উৎখাত হয়ে যায় তা হলে হয়তো বাংলাদেশ একদিন দ্বিতীয় আফগাস্তানে রূপান্তরিত হবে! ওই সময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলা দেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, এবং কুমিল্লা নোয়াখালী বৌদ্ধ সমিতিসহ অনেক বৌদ্ধ সংগঠন মতোই গ্রামে যায় এবং সরেজমিনে তদন্ত করে ও এমন বর্বরোচিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে! অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, প্রশাসন এই পৈশাচিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার বা বৌদ্ধদেরকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই!
কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রু নয়। বাংলাদেশে “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ” এবং মনুষ্যত্বের বাঁধনে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির সাধনা! বাংলাদেশে স্বাধীনতা কী ধর্মান্ধ মুসলমানদের জন্য? স্বাধীনতা সংগ্রাম সংখ্যালঘুদের রক্তে রক্তে প্রবহমান! বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িরা স্বাধীনতা পায়নি। স্বাধীনতা কি বাংলাদেশে ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদর মুসলমানদের জন্য? কাজেই উপায় কী? এখন উপায় একটাই তা হলো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের সোচ্চার হওয়া। বাংলাদেশে এই সচেতনতা আছে বলেই এখনো প্রতিবাদসভা হচ্ছে, মানববন্ধন হচ্ছে।
রামুর বৌদ্ধপল্লী ট্র্যাজেডির ১ ১বছর! কোরাণের নামে বাংলাদেশে ধর্মান্ধতার শেষ কোথায়? মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমানদের ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে গুজবের সূত্র ধরে রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীর ২৬টি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল ধর্মান্ধ দুর্বৃত্তদল। পরেরদিন একই ঘটনার জেরধরে উখিয়া-টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধ বিহার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির ঐতিহ্যে ফাটল দেখা দেয় পুরো দেশে। পুড়ে যাওয়া ঐতিহ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে দ্রুত সময়ে সুরম্য অট্টালিকা ও নিরাপত্তা বলয়ে পূর্বের স¤প্রীতি ফিরেছে। কবির ভাষায়: “পথ ভাবে আমি দেব, / রথ ভাবে আমি। / মূর্তি ভাবে আমি দেব/ হাঁসে অন্তর্যামী।” বাঙালি একতাবদ্ধ হবে কি? বিবেদ ও হিংসায় বাঙালি সমাজ ক্ষত বিক্ষত।

আল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস কেন? বাংলাদেশে কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞের ফল আল্লার গজব এবং ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা! মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে!

আজ ইউরোপের সুইডেন, নেদারল্যান্ডের পর এবার পবিত্র কোরান পোড়ানো হলো ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে! একের পর এক কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গোটা মুসলিম বিশ্ব। যে ইউরোপকে বলা হয় সভ্যতার মানদণ্ড, রাজনীতির নামে সে ইউরোপেই চলছে সা¤প্রদায়িক উস্কানি? (PROTHOM ALO 28 JANUARY 2023)! সত্য কখনো চাপা থাকে না! ইতিহাস কিন্তু বড় নির্মম ! ইউরোপে কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশে ১০ বছরে ও রামু বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ বিচার কাজ শেষ হয়নি!

১৯৭১ এর ৭ মার্চের পর থেকে ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই যখন নিজেদের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে ব্যস্ত, তখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করতে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক ইসলামের তথাকথিত পীর-মাওলানার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! ধর্মের অবমাননার অপরাধে সংখ্যালঘু বিদ্বেসী বই সংখ্যালঘুকে নিশ্চিহ্ন করেছে! ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে বাংলাদেশে মৌলবাদের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি এবং পাকিস্তান ইসলামের নাম দিয়ে ফতোয়া দিলেন, বাংলাদেশে” অপারেশন সার্চ লাইট নামে (বাঙালিদেরকে হত্যা কর) ৩০ লক্ষ নর নারী সহ শিশু হত্যা, ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষন এবং বুদ্বিজীবি হত্যা নামক অন্ধকার রাজনীতির জন্ম হল! পাকিস্তান রাজনীতির বাংলাদেশী হত্যা যজ্ঞ কেন?

বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িদের গ্রামের ভূমি লুন্ঠনর অভিযোগ ও বিচার প্রসঙ্গ! বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িদের গ্রামের ভূমি লুন্ঠনর কেন? বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভূমেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। ইসলামের নামে হিন্দু মন্দির বৌদ্ধমন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম? মুসলমান শ্রেষ্ঠ হলে বাংলাদেশে মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িরা নিকৃষ্ঠ হয় কেন? পৃথিবীর সকল মানুষ মুসলমান বা একটা ধর্মের মানুষ হলে কি সকল সমস্যার সমাধান হবে? ইসলামের নামে বৌদ্ধমন্দির ও হিন্দু মন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম?

সরকার প্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রের সরকার প্রধান মাননীয়া শেখ হাসিনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ – সেনবাগের বৌদ্ধ পল্লী মতোইন গ্রামের বৌদ্ধদের আসা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে বৌদ্ধদেরকে উৎখাতের যে নীলনকশা চলছে ওই সমস্থ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ভে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন! লুটেরা ধর্মান্ধ মুসলমান রুখো, বৌদ্ধ বাংলাদেশ স্বাধীনতা বাঁচাও! স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল ৩১%, পার্সেন্ট কিন্তু স্বাধীনতার পর ৫২ বছর এই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৮ % পার্সেন্টের ও কম! স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বর্তমানে যে হারে সংখ্যা লঘু কমে যাচ্ছে তাতে কয়েক বৎসরের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় চলে আসবে! এর একমাত্র কারণ সংখ্যা লঘু স¤প্রদায়ের উপর এ ধরণের অত্যাচারের কোনো প্রতিকার বা বিচার হয় না! বাংলাদেশে থেকে যদি এই অত্যাচারিত হিন্ধু বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান অর্থাৎ সংখ্যালঘু স¤প্রদায় উৎখাত হয়ে যায় তা হলে হয়তো বাংলাদেশ একদিন দ্বিতীয় আফগাস্তানে রূপান্তরিত হবে!

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশীদের নিশ্চিহ্ন করতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের ৭১-এর গণহত্যা! আমাদের মন বলে, “বিধির বিধান কাটবে তুমি, / তুমি কি এমনি শক্তিমান?” গৌতমবুদ্ধের মহাশান্তি মহাপ্রেম কে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বইয়ের নাম বৌদ্ধ চর্যাপদ! বাংলাদেশের সব নেতার মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তারা যেন নিজ হীন স্বার্থে জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত না করে বরং তাদের সঠিক পথ দেখান; তারা যেন ব্যক্তিকে ব্যক্তির বিরুদ্ধে, ধর্মকে ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে না দেন। মুসলমান যে মানব বৌদ্ধ এবং অখন্ড মানব জাতি সেই মানব! বিশ্বশান্তি স্থাপন করতে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বাংলা বইয়ের নাম “চর্যাপদ এবং বাংলা ভাষা পালি ভাষার বিবর্তিত রুপ! বৌদ্ধ সভ্যতা, ইতিহাস, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, দর্শন, আধুনিক জীবন ধারা রচনা, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা প্রকল্পে বুদ্ধের অবদান সাহিত্যে এবং সঙ্গীতের সুরে, ছন্দে, কথায়, নৃত্যে, অজন্তার চিত্রে, ভাস্কর্যে চলচিত্রে ক্রীড়ায় তার আবাদ স্বর্ণমঞ্জুরী ফুটিয়েছে বিগত ২৬০০ বছরের বিপাস্সনা, ধ্যানে ও চিত্তকর্ষণে।

মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণ ও সা¤প্রদায়িক তৎপরতা:
সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর উদ্যোগে ২০১৯ সালের শেষে মুসলিম সেটেলার, উগ্র জাতীয়তাবাদী ও উগ্র সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল সংগঠনগুলোর বিলুপ্ত করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ নামে একক সংগঠন গঠন করে দেয়া হয় এবং এই সংগঠনের নেতৃত্বে সেটেলারদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী তৎপরতা, ভূমি বেদখল, সা¤প্রদায়িক হামলা, নারীর উপর সহিংসতা, বহিরাগত মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ও বসতিস্থাপন, গুচ্ছগ্রাম স¤প্রসারণ ইত্যাদি তৎপরতায় উস্কে দেয়া হচ্ছে। গঠিত হওয়ার পর পরই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাঙ্গামাটিতে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বান্দরবানে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের সভা ঘেরাও করে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউন ভেঙ্গে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে এসে ২০২০ সালে রোহিঙ্গারা অবাধে বান্দরবান জেলায় অনুপ্রবেশ করেছে। কখনো নদী পথে, আবার কখনো পাহাড়ের ভিতর দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করেছে। যেমন জুন মাসে কিছু রোহিঙ্গা বান্দরবান পৌরসভার পাইংসি ঘোনাতে বসতি প্রদান করেছে। সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গারা ব্যাপকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির সত্যতা পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় কিছু ক্ষমতাসীন স্বার্থান্বেষী মহল সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দারিদ্র পীড়িত ও জামাত নির্যাতিীত পাহাড়ী মানুষগুলোর দুঃখ দুর্দশার বিষাদ সিন্ধু এক বেদনার্ত কাব্যচিত্রে পরিনত হয়েছে গোটা রাঙামাটি জেলা। চারিদিকে ছিল শুধু মানুষের আহাজারি, হাহাকার। পাকিস্তান যে বাংলাদেশের সর্বনাশ করবে তার প্রমান দশদিক জুড়ে তছনছ করে দিয়েছে পাহাড়ীদের সংসার। যেন তার পেছনে লেগেই রয়েছে জামাত বিএনপি সহ জোট সরকারের সা¤প্রদায়িক রাজনীতি। ৭০-৮০ দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ বাঙালি সেটলার অনুপ্রবেশের মধ্য দিয়েই খুন-গুম-ধর্ষণ ও ভূমি বেদখলের মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে। এই প্রত্যেকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় রাষ্ট্রীয় বাহিনী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। সরকার তথা শাসকগোষ্ঠি বছরের পর বছর সেটলারদের রেশন সুবিধা দিচ্ছে এবং তাদেরকে ভূমি বেদখল ও পাাহড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

নিজ বাসভূমেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের রাজনীতি জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে! “টালত মোর ঘর নাঁহি পড়বেসী। হাড়ীতে ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।” এর মানে, নিজ টিলার উপর আমার ঘর। প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নাই, অথচ নিত্য ক্ষুধিত।” তাই সা¤প্রদায়িক হামলা এখন আর ব্যক্তিবিশেষের হামলা হতে পারে না। রাষ্ট্র যতদিন পর্যন্ত এটি বন্ধে তোড়জোড় না করবে, ততদিন এগুলো চলতেই থাকবে। এসব হামলা সঙ্গে নিয়ে অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলা কি এতই সহজ? নিপীড়নের স্মৃতি কি এত সহজেই ভোলা যায়! তাহলে তো আমাদের ভুলে যেতে হবে একাত্তরকেও। আমরা তো তা কখনোই চাই!
পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলবাদী ও জুম্ম বিদ্বেষী কিছু ইসলামী গোষ্ঠী কর্তৃক সুপরিকল্পিতভাবে আদিবাসী জুম্মদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষত কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরই বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলিকদম উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসীদের এ ধরনের ধর্মান্তরিতকরণের ব্যাপক কার্যক্রমের খবর পাওয়া গেছে। এই তৎপরতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মতি ও সহযোগিতা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকার করা হয়েছে। বিশেষ করে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহ নির্মাণ, গরু-ছাগল পালন, সুদমুক্ত ঋণ ইত্যাদি প্রলোভন দেখিয়ে বান্দরবান জেলায় ধর্মান্তরকরণ চলছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ছাঃলাওয়া পাড়ায় (শীলবান্ধা পাড়া) ৫ মারমা পরিবারের ২৭ জনকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।

এমনকি লেখাপড়া শেখানোর লোভ দেখিয়ে আদিবাসী ছেলেমেয়েদেরকে তাদের মাতা-পিতা থেকে নিয়ে ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পিতা-মাতার অজান্তে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ২০২০ সালে সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে জুম্ম নারীদেরকে ফুসলিয়ে কিংবা ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করা এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। যার সর্বশেষ বলি হয়েছে উখিয়া উপজেলার ৭ম শ্রেণির ১৫ বছরের ছাত্রী লাকিংমে চাকমা। এই অপ্রাপ্ত কিশোরীকে জানুয়ারিতে অপরহণ করে নিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তর করে বিয়ে করার পর ডিসেম্বরে খুন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, বান্দরবান জেলায় ‘উপজাতীয় মুসলিম আদর্শ সংঘ’, ‘উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থা’ ও ‘উপজাতীয় আদর্শ সংঘ বাংলাদেশ’ ইত্যাদি সংগঠনের নাম দিয়ে উপজাতীয় নুও মুসলিমজনবসতিও গড়ে তোলা হয়েছে এবং এসব সংগঠনের মাধ্যমে জুম্মদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণের কাজ চালানো হচ্ছে। বর্তমানে বান্দরবান পৌর এলাকার বাস ষ্টেশনে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ৩০ পরিবারের অধিক ত্রিপুরা ও খিয়াং এবং টাংকি পাড়ায় ১৫ পরিবারের নুও ত্রিপুরা মুসলিম, লামার লাইনঝিড়িতে ১৭ পরিবারের অধিক ত্রিপুরা মুসলিম ও গয়ালমারায় ৪৫টি পরিবার, আলিকদম-থানচি সড়কের ক্রাউডং (ডিম পাহাড়) এলাকায় ১৬ পরিবার ত্রিপুরা মুসলিম, আলিকদম-থানচি সড়কের ১১ কিলো এলাকায় আরো ৪৫ পরিবারের নুও মুসলিমের বসবাস রয়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর দূর্ভেদ্য একুশ (২১ বীর)-এর লংগদু জোনের উদ্যোগে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মারিশ্যার চারকিলো নামক স্থানে নতুন করে কমপক্ষে ৫০০ পরিবার মুসলিম বাঙালি সেটেলার বসতি প্রদানের জঘন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাত্যাপাড়া, ঝর্ণাটিলা, হেডম্যান টিলা, ভাইবোনছড়া, সোনাই, হাজাছড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০০/২৫০ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রতি সেটেলার পরিবারকে ৩.০ একর পাহাড় ভূমি ও নগদ ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে। অপরদিকে সেটেলার বাঙালিরা লংগদু উপজেলাধীন ডাকঘর মোন (বড় পাহাড়) থেকে বামে লংগদু পর্যন্ত প্রায় ৫০০ একর জায়গা তাদের নামে কবুলিয়ত আছে বলে দাবি করে জুম্মদের প্রথাগত ভূমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে।

২০২০ সালে একজন সেনা সদস্যসহ সেটেলার বাঙালি কর্তৃক ১৬ জন জুম্ম নারী ও শিশু সংহিংসতার শিকার হয়। জুম্মদের মালিকানাধীন ভূমি জবরদখল ও ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালে সেটেলার বাঙালি, ভূমিদস্যু, রোহিঙ্গা ও নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ৪৭টি ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৭ জন জুম্ম আহত হয়েছে, ৩টি সা¤প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে, ভূমি জবরদখলের ফলে ৮৩৯ পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে, ৩,০৩৬ একর জায়গা বেদখল করা হয়েছে।

২০২০ সালে সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সেনাবাহিনী কর্তৃক তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্রভাবে মোতায়েন রেখে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। সেনা-সমর্থিত এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক ২০২০ সালে ১০০টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে, ৫০ জনকে অপহরণ করা হয়েছে, ১৭ জনকে মারধর ও হয়রানি করা হয়েছে, ৮ জনকে হত্যার হুমকি প্রদান হয়েছে, জনসংহতি সমিতির ৮২ জন সদস্য ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মগ পার্টি কর্তৃক ১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও সরকারের চুুক্তি বিরোধী তৎপরতা:!
২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়সমূহে বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি পার্বত্য চুক্তির অধীনে গঠিত চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি, পার্বত্য ভূমি কমিশন, টাস্ক ফোর্স ইত্যাদি কোন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের সভা আহ্বান করা হলেও কোরাম সংকটের কারণে আনুষ্ঠানিক মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তবে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যালয়ে ভূমি কমিশনের নতুন অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ইন্ধনে সেটেলার বাঙালি মুসলিমরা ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান-সদস্যদের ঘেরাও করে। বস্তুত ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে সরকারের কোন উদ্যোগ ছিল না বললেই চলে।

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি