অনলাইন ডেস্ক : দেশ থেকে যারা দূর দেশে থাকেন তাদের স্বদেশের প্রতি একটা আলাদা মায়া থাকে। স্বদেশের ভাষা, খাবার, সংস্কৃতিকে দূরদেশে বসে বড্ড বেশি অনুভব করতে থাকেন। প্রবাসের কর্মব্যস্ত জীবনে খুব কমই সুযোগ হয় একটু অবসর সময় বের করার। আর সেই সুযোগটা বের করে এবার উৎসবে মেতে উঠেছিলেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশিদের সামাজিক সংগঠন বাংলা ক্লাব ইউএসএর সদস্যরা। সম্প্রতি ব্রঙ্কসের পেলহাম বে পার্কে নিউইয়র্কের সামাজিক সংগঠন বাংলা ক্লাব ইউএসএর বনভোজনের আয়োজন করা হয়। আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বনভোজনে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলা ক্লাবের সদস্য ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বনভোজন পরিণত হয় ক্লাব সদস্যদের মিলন মেলায়। বনভোজনে বারবিকিউসহ মজাদার সব খাবার উপভোগ করেন সবাই। নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা অংশ নেয় বিভিন্ন খেলাধুলায়। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে এটি পরিণত হয় ক্লাব সদস্যদের মিলন মেলায়। উৎসবে আসা প্রবাসী তানিয়া আফসার বলেন, এ রকম আয়োজন আমাদের প্রায়ই হয়। আমরা বেশ উপভোগ করি এই আয়োজন। যেখানে ইউএসএর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালি মানুষ আসে। আমাদের বেশ ভালো লাগে এই সময়টা কাটাতে। মাতৃভাষায় প্রাণ খুলে আমরা আড্ডা দিই, গান করি, হৈ-হুল্লোড়ের উৎসব চলতে থাকে। এভাবেই নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এই গৃহিণী। বাংলাদেশের প্রবাসী শিক্ষার্থী তারিক আনাম বলেন, নিজ দেশের ঐতিহ্য-কৃষ্টিকে আরও জানতে এবং আপন করে নিতে এ ধরনের পুনর্মিলনীর বিকল্প নেই। আমি বেশ আবেগে আপ্লুত থাকি এই সময়টায়। এভাবেই ইউএসএর প্রবাসে থাকা বাঙালিরা নিজ নিজ অনুভূতিতে নিজেদের উচ্ছ্বাসের জানান দেন। বনভোজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ।
সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম পিনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা মো. হারুন ভূঁইয়া, সহসভাপতি মো. মমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক, প্রচার সম্পাদক সোনার বলাই, সদস্য মঈদুল লস্কর জুয়েল প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মীর এস আলী, মীর আবদুল লতিফ, রুহুল আমিন, সহসভাপতি মো. কামরুজ্জামান বাবু, সদস্য হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া, মিজানুর রহমান, শাহ মঞ্জুরুল হক, শহীদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, মামুনুর রশিদ, কাজী রকিব, মো. কে জামান, চুন্নুসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বনভোজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছাড়াও ছিল আকর্ষণীয় র্যাফল ড্র। শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী ও র্যাফল ড্র বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রোজিসহ শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্রর পুরস্কারের মধ্যে ছিল- স্বর্ণের চেইন, ৫০ ইঞ্চি টেলিভিশন, ল্যাপটপ, কফি মেশিন, মোবাইল ফোন ও ডিনার সেট। সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম পিনু ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রবাসে কর্মব্যস্ত জীবনের একটি দিন অন্তত নির্মল আনন্দে কাটবে- এই প্রত্যাশায় আমরা এ বনভোজনের আয়োজন করেছি। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় এই আয়োজন সফল হয়েছে। তারা এ আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সংশ্নিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আরও ভালো করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সূত্র :অনলাইন