অনলাইন ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন নিউইয়র্কে বসবাসরত তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, অনুরাগী ও অনুসারীরা। তাঁকে স্বাধীনতা–পরবর্তী সিলেট অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে অনেকেই শোকবার্তায় উল্লেখ করেছেন।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জুন দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যু হয়।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কয়েস, আবদুর রহিম বাদশাহ, এনাম, রব্বানী চৌধুরী, আবদুল হাসিব মামুন, শাহীন আজমল, শেখ আতিক প্রমুখ তাঁদের শোকবার্তায় বলেছেন, কামরানের মৃত্যু নিজেদের পরিবারের একজনের মৃত্যুর মতো। কামরানের মতো নেতার সিলেটবাসীকে দেওয়ার মতো অনেক কিছু বাকি থেকে গেল। বড় অসময়ে তাঁর এ চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা অপূরণীয় ক্ষতি।
অন্যদের মধ্যে শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, সাবেক সভাপতি বদরুল খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, সিলেট সদর থানা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মালেক খান, সাধারণ সম্পাদক ডি এম রোনেল, সুফিয়ান খান, হাসান চৌধুরী মাসুম, প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, সাংবাদিক ইব্রাহীম চৌধুরী, রহমান মাহবুব, গীতিকার ইশতিয়াক রূপু, কবি ফকির ইলিয়াস, লেখক সোনিয়া কাদের, কবি সুফিয়ান আহমেদ চৌধুরী, আবদুস শহীদ প্রমুখ।
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ৫ জুন করোনায় সংক্রমিত হন। পরদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেটে করোনা চিকিৎসায় সরকারনির্ধারিত হাসপাতাল শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা ক্রমে অবনতি হলে ৭ জুন সিলেট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাঁকে সিএমএইচ নিয়ে যাওয়া হয়। কামরানের স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরানও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। গত ২৭ মে পরীক্ষায় তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে সিলেটের বাসায় আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।