অনলাইন ডেস্ক : আগামীকাল থেকে পোশাক কারখানা চালুর পর নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হলে শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য সব কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পোশাক মালিকরা।

এদিকে, উৎপাদন চালু রাখতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা। তবে, কারখানা বন্ধ রেখে দেশকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করলে তাদের সরকার মনে রাখবে বলেও ছাপ জানিয়ে দেন তিনি। পোশাক শিল্পে বর্তমান সংকট নিরসনে করণীয় নিয়ে মতবিনিময় সভায় নিজেদের এমন অবস্থানের কথা জানান তারা।

কারখানা চালু করার পর শ্রমিক অসন্তোষের মুখে আবার তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। গেল দুই সপ্তাহ ধরে এমন অস্থিরতা চলমান রয়েছে আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায়।

অবস্থার উত্তরণ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কারখানা চালু রাখতে করণীয় ঠিক করতে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে উত্তরায় নিজস্ব ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসে বিজিএমইএ।

চলমান সংকটের জন্য মালিকদেরই দায়ী করলেও কারও উস্কানিতে পা না দিয়ে কারখানার উৎপাদন চালু রাখতে শ্রমিকদের কাজে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান শ্রমিক নেতাদের।

বর্তমান সরকারকে বেকাদায় ফেলতে এমন অস্থিরতার অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে এ সমস্যা নিরসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।

এসময়, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র করছে অন্য কেউ।

প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এমন সব আলোচনা শেষে বাধে কিছুটা হট্টগোলও। পোশাক কারখানা মালিকরা জানান, সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে শ্রম আইনের ১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রাখবেন তারা।

এসময় শিল্প উপদেষ্টাও সাফ জানিয়ে দেন, কারখানা বন্ধ করে কোন মহল দেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এখাতকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চান উপদেষ্টারা।