অনলাইন ডেস্ক : অনেকেই শরীরে কোনো স্থানে ব্যথা হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যথানাশক ওষুধ খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। বরং মাথাব্যথা এবং পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে শুরু করে, দাঁতে ব্যথা, গ্যাসের পেট ব্যথা দূর করতে কিছু কিছু খাবার বেশ উপকারী। যেমন-

আনারস : আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন উপাদান পেটের ফোলাভাব, গ্যাস এবং এমনকি দাঁতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান ওজন এবং প্রদাহ কমাতেও ভূমিকা রাখে।

ব্লুবেরি : ব্লুবেরি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এতে ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। ছোট ছোট বেরিতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান প্রদাহ কমাতে পারে এবং পেশিগুলিকে শিথিল করে। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ কমে।

আদা : আদা প্রাকৃতিকভাবে পেশি প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে। শুধু আঘাত নয়, আদা গুরুতর পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমাতেও সাহায্য করতে পারে। আদায় থাকা স্যালিসিলেট নামক একটি যৌগ স্যালিসিলিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমায়। আদা খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল আদা চা খাওয়া।

হলুদ: হলুদে থাকা প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য অভ্যন্তরীণ ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। অভ্যন্তরীণ ক্ষত নিরাময়ের জন্য হলুদ দুধ খেতে পারেন। হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান বাহ্যিক ফোলাভাব বং অভ্যন্তরীণভাবে প্রদাহ কমায়।

লবঙ্গ : সব ধরনের দাঁত ও মাড়ির ব্যথার জন্য লবঙ্গ উপকারী। দাঁতে ব্যথা হলে শুধু একটি লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথাযুক্ত দাঁতের নিচে চেপে রাখুন। এতে উপকার পাবেন।

চেরি : চেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি সক্রিয় যৌগ অল্প সময়ের মধ্যেই শরীরের সাধারণ ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য কমপক্ষে ২০-২৫ চেরি খেতে হবে। চেরি মাথা ব্যথা এবং এমনকি জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। চেরি ভালো করে ধোওয়ার পর কাঁচা খাওয়া ভালো। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া