রাশিদা আউয়াল

আকাশের তারাগুলো করে নিভু নিভু
তুষার আকাশের গায় দিয়ে যায় চুমু।
চাঁদ তারা নেই তাই শূন্য আকাশ
মুখ কালো মেঘ বহে ঝড়ের বাতাস।

প্রবাসে শীতল হাওয়ার নেই কোনো ভরসা
কখনো রোদ-বৃষ্টি কখনো ঘন কালো কুয়াশা।
মেঘ গর্জন করে শনশন চোখ যায় যতদূর
ভূবন আঁধারে ঢাকে তুষারে ভরপুর।

দুই ধার উঁচু তার তুষার সারি সারি
পায়ে হেঁটে চলে সবে ধীরে চলে গাড়ি।
রবি শশী নেই কোথা রোদে মেঘে দ্ব›দ্ব
মেঘের আঁধারে সূর্য দেয় গাল মন্দ।

ফুল পাখি নেই হেথা নয়নে জল আসে
সোনা রোদ তুষারে ঢাকে নিষ্ঠুর প্রবাসে।
দিন রাত অবিরাম তুষার ঝরে ঝিরঝির
ঠান্ডা শীতল বাতাসে গা করে শিরশির।

ঘরে বসে কাটে না দিন মনে বর কষ্ট
আঁধারে ঢাকে বেলা অযথা সময় নষ্ট।
আপন জন নেই কোথা প্রবাসে জীবন বন্দী
স্বর্গ রাজ্যে বসবাস তবু দুঃখের সাথে সন্ধি।

লোভে পরে আসে সুখ স্বপ্নের আশে
কনকনে ঠান্ডায় তুষারে স্বপ্ন ভাসে।
ধর্ম কর্মে ডলারে আলোকিত ভূবন
তবু কেন কাঁদে মন আঁধার এ জীবন।
আকাশে ভাসে নাকো সাদা মেঘের ভেলা
দিন রাত ঝরে তুষার, নেই রোদ বৃষ্টি খেলা।
পাহাড় সমান বরফ কেঁটে নিত্য কাজে যায়
দেশের সম্পদ ছেড়ে এসে এখানে অসহায়।

সুখে আছে বলে, তাই কষ্ট লুকায় হেসে
ভোগ-বিলাসে থেকে তব নয়ন জলে ভাসে,
দুঃখ কষ্ট সহে তব সুখে থাকে প্রবাসে
পোড়া মন সারাক্ষণ ছুঁটে যায় স্বদেশে।
কানাডা