বিনোদন ডেস্ক : অন্যদিকে হ্যাটট্রিক করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন জায়েদ খান। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৬টায় শিল্পী সমিতি নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন। প্রথমে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। পীরজাদা জানান, মিশা-জায়েদ পরিষদ থেকে ১১ জন এবং কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ থেকে ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৪০টি। তিনি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে প্রার্থী ছিলেন।
১১ জন কার্যনির্বাহী সদস্য বিজয়ী হলেন যারা: অঞ্জনা ২২৫ ভোট, অরুনা বিশ্বাস ১৯২ ভোট, অমিত হাসান ২২৭ ভোট, আলীরাজ ২০৩ ভোট, কেয়া ২১২ ভোট, চুন্নু ২২০ ভোট, জেসমিন ২০৮ ভোট, ফেরদৌস ২৪০ ভোট, মৌসুমী ২২৫ ভোট, রোজিনা ১৮৫ ভোট, সুচরিতা ২০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান ১৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান ২৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ২০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জয় চৌধুরী। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ইমন ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহনূর। সহ সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে ডিপজল ২১৯ এবং রুবেল ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে শুরু হয় শিল্পী সমিতির ভোট গ্রহণ। যা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। এবারের নির্বাচনে মোট ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। তারমধ্যে ১০টি ভোট বাতিল হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার জানান, ঘোষিত ফলাফল নিয়ে কেউ যদি আপিল করতে চান, সেটা শনিবারের মধ্যে করতে হবে। চূড়ান্ত ফলাফল রবিবার প্রকাশ করে শিগগির নতুন কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।