বিনোদন ডেস্ক : গত বছরের শুরুর দিকে সারোগেসির মাধ্যমে কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তারপর এক বছর কেটে গেলেও মেয়ের মুখ দেখাননি তিনি। অবশেষে প্রিয় কন্যার মুখ দেখালেন এই দেশি গার্ল। মেয়েকে নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও নিক। সেখানেই প্রথমবার মেয়ের মুখ দেখালেন প্রিয়াঙ্কা।

অনুষ্ঠানে বাবা নিক মঞ্চে থাকলেও মা প্রিয়াঙ্কার কোলে বসেছিলো ছোট্ট মালতি। পরনে ক্রিম রঙের সোয়েটার, মাথায় সাদা ফুলের হেয়ার ব্যান্ডে বেশ হাস্যজ্জল দেখা যাচ্ছিলো খুদে জোনাসকে।

ইনস্টাগ্রামে প্রিয়াঙ্কার ভিডিও শেয়ার করার পরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় বেশকিছু ছবি, যেখানে খুব হাসিখুশি দেখা গেছে মা–মেয়ে উভয়কেই।

ভিডিওতে দেখা যায়, মায়ের কোলে বসে এদিক-সেদিক নজর রাখছে ছোট্ট মালতী। আবার কখনোবা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মায়ের ব্যাগ নিয়ে খেলতে খেলতে। মেয়ে যাই করুক না কেনো পরম যত্নে দু-হাতে আগলে রয়েছেন দেশি গার্ল খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

এদিকে স্টেজে দাঁড়িয়ে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা এবং মেয়ে মালতীর ওপর ভালোবাসা উজাড় করেছেন পপতারকা নিক। ভিডিওতে নিককে বলতে শোনা যায়, ‘আমার সুন্দরী স্ত্রী, তুমি কখনও অশান্ত আবার কখনও শান্ত। ঝড়ের মধ্যে পাথর এবং তোমাকে বিয়ে করে আমি সুখী। সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। তোমার পাশে থেকে বাবা-মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসি।’

যেখানে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ায় নানারকম সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো এই তারকা দম্পতিকে, সেখানে তাদের মেয়েকে দেখার পর চারদিক থেকে ভেসে আসছে নানারকম শুভেচ্ছা বার্তা। তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে মেয়ে দেখতে কার মতো হয়েছে! যদিও অধিকাংশের মতে মেয়ে দেখেতে হয়েছে বাবা নিকের মতো।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থানে বিয়ে করেন নিক-প্রিয়াঙ্কা। ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি এই তারকা দম্পতির কোল আলো করে আসে তাদের কন্যাসন্তান মালতী মেরি চোপড়া জোনাস। নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়ায় মালতিকে তিন মাস থাকতে হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। এ সময় বেশ বড় রকমের ঝড় বয়ে যায় এই দম্পতির ওপর দিয়ে।

সম্প্রতি ‘ভোগ ম্যাগাজিন’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘মালতি জন্মানোর সময় অপারেটিং রুমে ছিলাম। সে আমার হাতের তালুর চেয়ে ছোট ছিলো। আমি দেখেছি, ইনটেনসিভ কেয়ারের নার্সরা কীভাবে খেয়াল রাখেন, তারা একেকজন মহামানব।’

প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘আমার নানান শারীরিক জটিলতা আছে। এ জন্য নিজের সন্তানের জন্ম দিতে আমি সক্ষম ছিলাম না। তাই বাচ্চার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে গেলে সারোগেসির বাইরে আমাদের উপায় ছিলো না। যদিও সারোগেসির কারণে নানারকম সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিলো তবে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করি। কারণ, এ ব্যাপারে আমি সুযোগ পেয়েছিলাম। আর আমি আমার সারোগেটের কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি ছয় মাস ধরে আমাদের এই অমূল্য উপহারের খেয়াল রেখেছেন।’