অনলাইন ডেস্ক : পদ্মা সেতু পার হতে ১৬ মিনিট লেগেছে বিশেষ ট্রেনটির। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ভাঙ্গা স্টেশন ছেড়ে আসে ট্রেনটি। এরপর প্রথম স্টেশন মালিগ্রাম সংলগ্ন বগাইলে পৌছায় ১টা ৪১ মিনিটে। ট্রেনটি গড়ে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল বলে জানা গেছে। ২টা ১০ মিনিটে শিবচরের পদ্মা স্টেশনে এসে পৌছায়। এরপর পদ্মা সেতু পার হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌছায় বিশেষ ট্রেনটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাগে ভাগ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। দিন-রাত দুই শিফটেই চলছে কার্যক্রম। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি ভায়াডাকের ওপর পাথরবিহীন প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেল সেতু স্থাপন হচ্ছে মূল সেতুতে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে মাওয়া প্রান্তে যায় ট্রেনটি। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভায়াডাক উড়াল রেললাইন চার কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের চার কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে।

জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি স্টেশন রয়েছে। শিবচরে ২টি স্টেশন এবং ভাঙ্গায় জংশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা জংশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা-পদ্মা সেতু হয়ে নতুন চার জেলা (মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল) অতিক্রম করে যশোরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটারের অংশে আগামী সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী রেল চলাচলের আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিংবিহীন ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস ও ১৩টি রেল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের রেল স্টেশনসহ নতুন ১৪টি স্টেশন নির্মাণ ও পুরনো ছয়টি স্টেশনের কাজ।

রেল যাত্রায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গা থেকে ঢাকার এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রেন চালুর চেষ্টা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপও হয়েছে। তিনি সম্মতিও দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মাদারীপুর, শরীয়তপুর এবং মুন্সীগঞ্জে প্রচুর পরিমান লোক বিদেশে থাকে। অসংখ্য প্রবাসী রয়েছেন এ এলাকার। ভাঙ্গা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রেন চালু করতে পারলে যানজট এড়িয়ে এ অঞ্চলের মানুষ চলাচল করতে পারবে।