স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের কোপা আমেরিকার শুরুর দিনেই চিলির বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে দল দুটি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০২১ সালের ১১ জুন
২০১৫ ও ২০১৬—টানা দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। দুবারই চিলির কাছে হেরেছেন লিওনেল মেসিরা। আগামী কোপা আমেরিকার শুরুর দিনেই চিলির বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে দল দুটি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০২১ সালের ১১ জুন।
সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবারের কোপা আমেরিকায় খেলবে ১২টি দল। সাউথ জোন নামে ‘এ’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা ও চিলির সঙ্গে আছে সর্বোচ্চ ১৫ বার কোপা আমেরিকা জয়ী উরুগুয়ে, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও এএফসির দল অস্ট্রেলিয়া। নর্থ জোন ‘বি’ গ্রুপে নয়বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের সঙ্গী কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, পেরু ও এএফসির আরেক দল কাতার। ব্রাজিল তাদের টুর্নামেন্ট শুরু করবে ১৩ জুন, ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
এবারের কোপা আমেরিকা হবে দুটি দেশে—আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ায়। আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে বুয়েনস এইরেসের স্তাদিও মনুমেন্টালে। আরেক স্বাগতিক কলম্বিয়া তাদের টুর্নামেন্ট শুরু করবে বোগোতার স্তাদিও এল কাম্পিনে, ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। কোপা আমেরিকার ইতিহাসে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো একাধিক দেশ টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে। এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯ ও ১৯৮৩—টানা তিনটি টুর্নামেন্টের একাধিক স্বাগতিক দল ছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির আগের পরিস্থিতি থাকলে এ বছর ফুটবলের বড় তিনটি টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল—অলিম্পিক ফুটবল, ইউরো ও কোপা আমেরিকা। তিনটি প্রতিযোগিতাই আবার ২০২১ সালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের মতো এবারও অলিম্পিক খেলার আগ্রহ জানিয়েছেন নেইমার। তবে ২০১৬ সালে অলিম্পিক সোনার জন্য কোপা বিসর্জন দিয়েছিলেন। এবার আর সেটা করতে রাজি নন নেইমার। ক্লাবের কাছ থেকে দুটোতেই খেলার অনুমতি চাইবেন নেইমার। ওদিকে অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে এখনো পরিষ্কার সিদ্ধান্ত জানায়নি জাপান। যদি শুধু কোপা আমেরিকাই হয় তাহলে নেইমারের সেখানে খেলার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
সেদিক বিবেচনায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল যদি যার যার গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে তাহলে ফাইনালে দেখা হতে পারে লিওনেল মেসি ও নেইমারের। আরেকটি সুপার ক্লাসিকো দেখার অপেক্ষা করতেই পারে ফুটবল বিশ্ব!