স্পোর্টস ডেস্ক : বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর পরিবার নিয়ে লিওনেল মেসি আপাতত প্যারিসের লে রয়্যাল মনচিয়াও হোটেলে থাকছেন। সেখানে একসময় ছিলেন বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সিনেমাজগতের বড় তারকারা। পিএসজির মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেস স্টেডিয়াম থেকে হোটেলটি মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, হলিউডের সিনেমা প্রযোজক ওয়াল্ট ডিজনি ও অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোও রয়্যাল মনচিয়াও হোটেলে থেকেছেন। বাসা খুঁজে পাওয়ার আগে এই পাঁচ তারকা হোটেলেই থাকবেন মেসি।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতি রাতে এই হোটেলের ভাড়া ১৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ২০ লাখ টাকা। ১৯২৮ সালে যাত্রা শুরু করা এ হোটেল প্যারিসে শিল্পী, সেলিব্রিটি ও বুদ্ধিজীবীদের দেখা করার জায়গা।
মেসির বর্তমান ক্লাব সতীর্থ ও বন্ধু নেইমারও এই হোটেলে থেকেছেন।
বার্সেলোনা ছেড়ে ২০১৭ সালে তিনি পিএসজিতে যোগ দেয়ার সময় এই রয়্যাল মনচিয়াও হোটেলেই ছিলেন। প্যারিসের সবচেয়ে বিলাসবহুল অঞ্চলে অবস্থিত মনচিয়াও হোটেল। হোটেলটিতে প্রায় সময়ই নানা রকম চিত্র প্রদর্শনী হয়ে থাকে। একঘেয়েমি কাটাতে এসব প্রদর্শনীতে সময় কাটাতে পারে মেসি ও তাঁর পরিবার। ২৩ মিটার লম্বা সুইমিং পুল (প্যারিসে হোটেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়), সিনেমা দেখার ব্যক্তিগত জায়গা ছাড়াও ছয়টি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট রয়েছে এ হোটেলে। মাতসুইশা রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান খাবার জায়গা। জাপানিজ থেকে পেরুভিয়ান রসুইঘরের খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে। পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন মেসি। চাইলে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে পারবেন বার্সেলোনার সাবেক এ ফরোয়ার্ড। বেতন-ভাতা মিলিয়ে ক্লাবটিতে বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো পারিশ্রমিক পাবেন তিনি। খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ বছরে পিএসজির খরচ ২৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা)।